শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বেনাপোল’র ওপারে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীদের দূর্ভোগ চরমে ----

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২২, ৪:৪৫ পিএম

বেনাপোল’র ওপারে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীদের দূর্ভোগ চরমে পৌছেছে। বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫/৬ হাজার যাত্রী বাংলাদেশ-ভারত যাতায়াত করেন। যাত্রীদের অনেকে ভারতে যান চিকিৎসার উদ্দেশ্যে, কেউ ব্যবসার কাজে, আবার কেউ যান আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বেড়াতে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট যাত্রীদের দ্রুত ,নির্বিঘেœ যাতায়াতের ব্যবস্থা করলেও ওপারে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশী যাত্রীদের যাতায়াতে নানা দূর্ভোগ ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। ইমগ্রেশন ও ব্এিসএফ’র হাতে সবচেয়ে বেশী হয়রানির শিকার হতে হয়।

ভারতের নোমান্সল্যান্ডে প্রবেশ করে দেখা যায় ভারত ফেরত যাত্রীদের দুর্বিষহ ভোগাšিত।প্রতিনিয়ত যাত্রীদের খোলা আকাশের নিচে দীর্ঘ লাইনে ৫/৬ ঘন্টা দাঁড়িয়ে রোদ বৃস্টিতে ভিজে পুেড় অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

দেশে ফেরা যাত্রী কামাল হোসেন জানান, ভারতীয় ইমিগ্রেশনে ১৪টি ডেস্কে মাত্র ২-৩ জন স্টাফ কাজ করছে। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় ধীরগতির কারণে যাত্রীদের দীর্ঘ-লাইনের সৃষ্টি হয়। ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের আগ মুহূর্তে পেট্রাপোল বন্দরের নোমান্সল্যান্ডে চেকিং এবং ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য দীর্ঘ লাইন দিয়ে বাহিরে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ যাত্রীদের। এতে তীব্র রোদ আর গরমে যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। দীর্ঘ ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে আমাকে। অন্যদিকে বিএসএফ সদস্যদের দুর্ব্যাবহারের শিকার হতে হয়েছে।
ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশনে জনবল কম এবং কাজে ধীরগতির কারণে যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করাসহ নানা ভোগাšিতর শিকার হচ্ছে। কোন যাত্রী প্রতিবাদ করলে তাকে বসিয়ে রাখা হয় ঘন্টার পর ঘন্টা।

এদিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, মোট ২৬ টি ডেস্ক করা হয়েছে যাত্রীদের জন্য। যাত্রীরা যাতে দ্রুত সময়ে ভারতে যেতে পারে সেজন্য ২৬ টি ডেস্কে ২৬ জন অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ফলে যাত্রী দ্রুত সময়ে বাংলাদেশ থেকে ছাড় পেলেও ভারতে গিয়ে আটকে যাচ্ছে ৫/৬ ঘন্টা করে। গতকাল শুক্রবার ৫০৭৯ জন যাত্রী ভারতে যাতায়াত করেছে। বেনাপোল ইমিগ্রেশনে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে এ সময় যাত্রীদের কোনো প্রকার ভোগাšিত নেই। ঈদের আগে বেনাপোল ইমিগ্রেশনকে দালাল, লেবার সহ সিন্ডিকেটমুক্ত করেছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।

বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মো: কাইউম হোসেন জানান,পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রীদের ভোগাšিতর বিষয়টি সম্পূর্ণ ওপারের ব্যাপার। তবে আমাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস দিয়ে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করছেন। নোমান্সল্যান্ডে যাত্রীদের ভোগাšিতর বিষয়টি নিয়ে ওপারে একাদিবার অলোচনা করেছি ,সমাধানের জন্য বলা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন