কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিবাদ করা যে পাকিস্তান বন্ধ করবে না, তা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর এই কাজে প্রতিটি আন্তর্জাতিক মঞ্চকেই যে ব্যবহার করতে চাইছে ইসলামাবাদ, তা ফের স্পষ্ট রোববার। মালদ্বীপে আয়োজিত ‘সাউথ এশিয়ান স্পিকার্স’ সামিটে এদিন কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলেন পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা। জবাবে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়কে যে ভাবে এখানে তোলা হচ্ছে তার তীব্র বিরোধিতা করছি।’
শুরুটা অবশ্য করেছিলেন পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের সদস্য কাসিম সুরি। হঠাৎই সকলের সামনে বলেন, ‘কাশ্মীরিদের উপর অত্যাচারের কথা ভুলে গেলে চলবে না।’ তখনই জবাব আসে হরিবংশের। তবে শুধু রক্ষণ নয়, আক্রমণেও গিয়েছেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান। বলেন, ‘এই দেশটির মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার কোনও নৈতিক অধিকার রয়েছে কি? গোটা বিশ্ব জানে নিজের দেশেরই একাংশে গণহত্যা করেছিল এরা। এখন অবশ্য সেই অংশটি আলাদা দেশ যেটিকে বাংলাদেশ বলেই সকলে চেনেন।’ আরো বলেন, ‘তথাকথিত ‘আজাদ কাশ্মীর’-এর প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, আইনসভা সব আলাদা থাকলেও সেটি না আলাদা দেশ না আলাদা প্রদেশ। অর্থাৎ পাকিস্তান এটিকে কী ভাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।’ পাল্টা জবাব দেন পাকিস্তানি সিনেটর কুরাত উল আইন মারি। তর্ক থেকে বিষয়টি ঝগড়ায় পরিণত হয়।
উল্লেখ্য, শনিবার প্রেসিডেন্ট পদের ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স শনিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে আমি সবিশেষ উদ্বিগ্ন। ভারতের পদক্ষেপ মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।’ তার দাবি, আমেরিকার উচিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও রাষ্ট্রপুঞ্জ সমর্থিত শান্তি প্রস্তাবের সমর্থনে কাশ্মীরিদের হয়ে প্রকাশ্যে সরব হওয়া। সূত্র: টিওআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন