জাতিসংঘের রেজুলেশন অনুযায়ী কাশ্মীরি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার হিসেবে তাদের ন্যায্য সংগ্রামের প্রতি পাকিস্তানের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন প্রকাশ করার জন্য প্রতিবছর ৫ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীর সংহতি দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে নিপীড়িত কাশ্মীরি জনগণের দুর্দশার কথা তুলে ধরে এবং দীর্ঘস্থায়ী বিরোধের সমাধানের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। -ট্রিবিউন, ন্যাশনালটুডে
কাশ্মীর সংহতি দিবসে কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের জন্য অটল সমর্থন দেখানোর জন্য পাকিস্তানের বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী কর্পোরেশনগুলি ৪-৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশজুড়ে বিশেষ অনুষ্ঠান করছে । ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নিরীহ কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বর্বরতার প্রতি বিশ্বসম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য দিবসটিতে সমাবেশ, জনসভা এবং সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নিরীহ কাশ্মীরিদের দুর্দশার কথা তুলে ধরা ব্যানারগুলো দেশের অন্যান্য অংশের মতো জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এবং রাস্তাগুলিতে প্রদর্শন করা হয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুটির প্রতি শিক্ষা বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে, যা ভারতীয় অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) নিরপরাধ লোকদের পক্ষে পরিষ্কার রেজুলেশন থাকা সত্ত্বেও নিষ্পত্তি করা যায়নি।
সর্বদলীয় হুররিয়াত কনফারেন্স জাতিসংঘ অফিসের সামনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করবে এবং ১৯৪৮ সালে কাশ্মীর নিয়ে করা প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য একটি স্মারক লিপি পেশ করবে এবং নিরীহ কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ভারতীয় নৃশংসতার কথাও তারা তখন তুলে ধরবে। দখলদার বাহিনীর বন্দুকের আঘাতের বিরুদ্ধে তথা ভারতীয় নৃশংস কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী জনতাকে কারাগারে বন্দি করে রক্তাক্ত করায়, অধিকৃত উপত্যকা বিশ্বের বৃহত্তম কারাগারে পরিণত হয়েছে। বিপুল উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে।পাকিস্তান সরকার এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ প্রতিবছর সংহতি দিবস পালন করে শুধুমাত্র আইআইওজেকে-এর জনগণের সাথে তাদের ভালবাসা এবং সহানুভূতির জন্যই নয় বরং ভারতীয় অধীনতা থেকে অধিকৃত উপত্যকার মিানুষের মুক্তির জন্য তাদের প্রতিশ্রুতিও উৎসর্গ পুনর্ব্যক্ত করার জন্য। .
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন