অধিকৃত কাশ্মীরে বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর পেলেট গানের গুলিতে আহত হয়েছিলেন। এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসার পর বুধবার মৃত্যু হতেই ফের উত্তেজনা ছড়াল উপত্যকায়। স্থানীয়দের দাবি, নিরাপত্তা বাহিনীর পেলেট গানের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে আসরার আহমেদ খান (১৮) নামে ওই যুবকের। যদিও সেনার দাবি, পেলেট গান নয়, ভোঁতা কিছুর আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। তবে উত্তেজনার আশঙ্কায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে শ্রীনগর-সহ বিভিন্ন এলাকায়।
গত ৫ আগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পরের দিনই শ্রীনগরের কাছে ইলাহিবাগ এলাকায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে শামিল হন এলাকার কিছু বাসিন্দা। অভিযোগ, সেই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পেলেট গান ছোড়ে নিরাপত্তা বাহিনী। তাতেই আরসার গুরুতর চোট পান বলে অভিযোগ পরিবার ও স্থানীয়দের। তার পরই তাকে সৌরা এলাকায় শের-ই-খান ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ ভর্তি করানো হয়।
সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাত থেকেই তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। বুধবার সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা ইলাহিবাগ এলাকায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।
কিন্তু এর পর থেকেই ওই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ফের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ওই এলাকায় নিরাপত্তা আঁটসাট করেছে প্রশাসন। এলাকার উপর রয়েছে কড়া নজরদারি।
এর মধ্যেই বুধবার দুই পাক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় সেনা। এ নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের প্রধান মুনির খানকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ভারতীয় সেনার চিনার কোরের কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেএস ঢিলোঁ। সেখানেও আরসারের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। ঢিলোঁ দাবি করেন, যার মৃত্যু হয়েছে, তিনি পেলেটের গুলিতে মারা যাননি। মৃত্যু হয়েছে পাথরের আঘাতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন