আওয়ামী যুবলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে এতদিন কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেয়নি, সেই প্রশ্ন তুলে দোষ প্রমাণিত হলে দলীয় ট্রাইবুনালে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।
আজ বুধবার বিকালে গোলার টেক মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের অন্তর্গত মিরপুর-শাহআলী ও দারুসসালাম থানার অন্তর্ভুক্ত ওয়ার্ড নং ৭,৮,৯,১০ ও ১১ যৌথ ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ, সম্মানিত অতিথি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বিশেষ অতিথি ছিলেন আসলামুল হক। সম্মেলন উদ্বোধক ঢাকা উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রধান বক্তা ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন।
ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ অত্যন্ত সুসংগঠিত একটি ইউনিট। তাদের বিরুদ্ধে এতদিন কোনো অভিযোগ এলো না, হঠাৎ কেন অভিযোগ আসলো? আর অভিযোগ থাকলে এতদিন কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
খালেদের গ্রেপ্তার দল ও যুবলীগকে পঙ্গু করার ষড়যন্ত্র কি না সে প্রশ্নও করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা আওয়ামী যুবলীগের নিজস্ব ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দলীয় কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর গুলশান ২ এর ৫৯ রোডের ৫ নাম্বার বাসা থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানের একটি বাসভবন থেকে একটি শর্টগান ও একটি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে ২৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে বাসার ভেতরে থাকা টাকার লোহার ভোল্ট এখনো ভাঙা যায়নি।
এর আগে রাজধানীর মতিঝিল ফকিরাপুল এলাকায় তার মালিকাধীন ‘ইয়ংমেনস ফকিরেরপুল’ ক্লাবের ক্যাসিনোতে র্যাব অভিযান চালায়। এসময় ক্যাসিনো থেকে ১৪২ জনকে আটকসহ, বিপুল পরিমাণ টাকা জব্দ করে র্যাব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন