শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ড. মোশাররফ : চুনোপুটিদের হাতে হাজার কোটি টাকা বড়দের কাছে কত?

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৮:২৭ পিএম

মসজিদের নগরী ঢাকা ক্যাসিনোর নগরীতে পরিণত হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ বলেন, যাদের ধরছে তারা তাদের দলের চুনোপুটি। যুবলীগের সমবায় সম্পাদক হাজার হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। তাহলে তাদের বড় নেতাদের কত হাজার কোটি আমরা জানতে চাই। যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের হাতে যদি এতো হাজার কোটি টাকা থাকে, আওয়ামী লীগের বড় নেতাদের হাতে কত টাকা আছে। সরকারের উচ্চমহল, প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এধরনের লুটপাট, ক্যাসিনোবাজী চলতে পারে না। জনগণের দাবি শুধু তারা নয়, তাদের পেছনে যারা আছে তাদেরকে বের করতে হবে। তা না হলে জনগণ বের করে বিচার করবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্ণচূড়া চত্ত্বরে জেলা ও মহানগর আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। এর আগে নানান নাটকীয়তার পর বেলা ১১টায় সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। সমাবেশ শুরুর মাত্র আধা ঘণ্টা আগে প্রস্তুত করা হয় সমাবেশ মঞ্চ। মাত্র তিন ঘণ্টা আগে অনুমতি পেলেও সমাবেশ শুরুর আগে থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় সমাবেশস্থল। হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে কৃষ্ণচূড়া চত্ত্বর পূর্ণ হয়ে তারা ছড়িয়ে পড়েন আশপাশের সড়কগুলোতে।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া কোন অন্যায়ের জন্য নয়, সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অলিখিত বাকশাল পাকাপোক্ত, লুটপাট, চাঁদাবাজী, কমিশনবাজীর উদ্দেশ্যে নেত্রীকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন,এটা জনগণের সরকার না, ডাকাতি, লুটেরা, সুবিধাভোগী, লুটপাটের ও ক্যাসিনোবাজীদের সরকার। এই সরকারের দুঃশাসনে, দুর্নীতিতে, লুটপাটে, কমিশনের কারণে, অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, ব্যাংক খালি হয়ে গেছে। সরকার দেশ পরিচালনার জন্য রাজস্ব শূণ্য তাই আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এমন দেওলিয়া হয়েছে মহাসড়কে টোলের টাকা নিয়ে সরকার পরিচালনা করতে হচ্ছে। টাকা গেলো কেথায়? গত ৫ বছরে বিভিন্নভাবে তিনগুণ ট্যাক্স বৃদ্ধি হয়েছে। টাকা যাচ্ছে কোথায়? ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগের হাতে।

ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ এবং উত্তর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন তালুকদারের পরিচালনায় মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এড. ফজলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা ওয়ারেছ আলী মামুন, কামরুজ্জামান রতন, শামীমুর রহমান শামীম, আব্দুল বারী ড্যানি, আব্দুল্লাহ ফারুক, শামসুল আলম তোফা, ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, বেগম নূরজাহান ইয়াসমিন, এড. আরিফা জেসমিন, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুবুল হক রুবেল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জারিফ তুহিন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, নূরুল ইসলাম নয়ন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন