বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ক্যাসিনো বা জুয়ার আসরের বিরুদ্ধে দেশে যে অভিযান চলছে তা কয়েক দিনের মধ্যে ধামাচাপা দেয়া হবে। কারণ জি কে শামীম, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, ইসমাইল হোসেন সম্রাটদের পেছনে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রীরা রয়েছেন। তাই শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হবে না।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে অ্যাগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব)। চলমান ক্যাসিনো কা-ের কথা উল্লেখ করে মওদুদ আহমদ বলেন, শামীম, খালেদ আর সম্রাট- এরা মাত্র তিনটি নাম। এ রকম আরও হাজার হাজার নাম আছে। হাজার হাজার মানুষ আছে, যুবলীগ আছে, ছাত্রলীগ আছে, যারা চাঁদাবাজি করে, ব্যবসা করে, ক্যাসিনো চালায় এবং জুয়ার আসর বসায়। এরা কারা? তারা তো সরকার দলেরই নেতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, কেবল ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক শোভন আর রাব্বানী নয়, ছাত্রলীগের মধ্যে এ ধরনের শোভন রাব্বানী অনেক রয়েছে। একজন ছাত্রনেতা ৮৬ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করবে, এ তো কল্পনাই করা যায় না।
সরকারের সমালোচনা করে মওদুদ আহমদ বলেন, দেশের সর্বত্র দুর্নীতি ছড়িয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন দলের সর্বস্তরের তো বটেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে তিনজনের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে। একটি হলো প্রধানমন্ত্রীর নিজ জেলা গোপালগঞ্জের। তাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে এবং আন্দোলন চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলছে।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, এ সরকারের পক্ষে দলীয় লোকদের দুর্নীতি দূর করা সম্ভব হবে না। আজকে হয়তো খবরের কাগজে খুব ভালো করে ছাপানো হচ্ছে। দেখবেন কয়েক দিন পরে এগুলো ধামাচাপা দেয়া হবে। এদের সঙ্গে যেসব এমপি-মন্ত্রী জড়িত, তাদের প্রভাবে এদের শেষ পর্যন্ত কিছুই হবে না।
অ্যাবের সভাপতি রাশেদুল হাসান হারুনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, পেশাজীবী নেতা রিয়াজুল ইসলাম রিজু প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন