পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় মাটিভাংগা ইউনিয়নে ৪ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় নির্যাতিতা শিশুকে প্রথমে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। নাজিরপুর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে শুক্রবার বিকাল ৪ টায় নাজিরপুর উপজেলার এক দিনমজুরের শিশু মেয়েটিকে ঐ গ্রামের জুলহাস শেখের পুত্র মোঃ সুজন শেখ তার দাদীর উত্তর ভিটির টিনের চৌতলা বসত ঘরের মাজখানে চৌকির উপরে ফেলে তার হাতের আঙ্গুল একাধিকবার ঢুকিয়ে যৌনাঙ্গ জখম করে এবং জোড় পূর্বক ধর্ষন করে। শিশুটির মা নাজিরপুর থানায় এজাহারে অভিযোগ করেন আমার বড় মেয়ে (৭) এবং ভিকটিম ছোট মেয়ে (৪) আমাদের প্রতিবেশী মাজেদা বেগমের বাড়ীতে যাওয়ার সময় আমার বড় মেয়ে একটু অগ্রসর হয়ে মাজেদা বেগমের বাড়ীতে চলে যায়। আমার মেজ মেয়ে (৪) ভিকটিম পিছনে পড়লে ঐ কিশোর ধর্ষক বাদীর ঘরের সামনে পৌছাইলে আমার মেয়েকে ভিকটিম (৪) ডাব নারকেল খাওয়ানোর লোভ দেখাইয়া ঘরের ভিতর নিয়ে চৌকির উপর ফেলে কয়েক বার ধর্ষন করে। মেয়েটির ডাক চিৎকার ও কান্না করিলে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হলে ধর্ষক তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় শিশুটির মা শিশুটিকে প্রথমে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার রাতে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শিশুটির মা বলেন আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। আমরা গরিব মানুষ আমি এর বিচার চাই। ঐ ছেলে এর আগেও একটি মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, ছেলের চরিত্র ভাল না। নাজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা: ইসমত আরা জাকিয়া কে মুঠো ফোনে কয়েকবার ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে হাসপাতালের কর্মকর্তা রতন কুমার ঢালী ফোনে জানান বিষয়টি শুনেছি। ধর্ষন জনিত ঘটনা কিনা জানিনা তবে একটি শিশু ভর্তি হয়েছে এটা জানি এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম মুনির বলেন নাজিরপুর থানায় মামলা নং- ১৫, তারিখ ২৮-০৯-২০১৯ ইং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতার করেছি এবং তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি। ধর্ষনের বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন