রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পাবনায় পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

২০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী, তলিয়ে গেছে ফসলি জমি

পাবনা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০১৯, ৫:১১ পিএম

পাবনায় পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সদর, ঈশ্বরদী ও সুজানগর উপজেলার নদীকূলবর্তী অনেক গ্রাম তলিয়ে গেছে। কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। পানিবন্দী দিন কাটাচ্ছেন চরাঞ্চলের ২০ গ্রামের মানুষ। উজান থেকে ভারতের ফারাক্কা ব্যারেজ দিয়ে গঙ্গার পানি প্রবেশ করায় এবং দেশে চলমান নি¤œচাপের কারণে ভারি বর্ষণে ফুঁসে উঠেছে পদ্মা নদী । পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম জহুরুল হকে মতে, এই পানি বৃদ্ধি সাময়িক স্বল্প সময়ের মধ্যে কমে যাবে। তিনি আরও বলেন ,পাবনা জেলা ১৫৪৮ কিলোমিটার এলাকা মুজিব বাঁধ দিয়ে পরিবেষ্টিত। ফলে জেলার অভ্যন্তরে বন্যার পানি প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই। বাঁধের বাইরে বসবাসকারী চরাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে। পদ্মা নদী পানি বৃদ্ধি পেলে এই নদীর শাখা প্রশাখা নদীতেও পানি বৃদ্ধি পেয়ে পায়।

সূত্র মতে, পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া, সুজানগর, চাটমোহরে পদ্মার সাথে সংযোগ রক্ষাকারী আত্রাই, বড়াল, চিকনাই নদীতে পানি বাড়ছে। হুরাসাগরের পানি বৃদ্ধি হচ্ছে যমুনা নদীর পানি বাড়ার কারণে।

ক্রমাগত পানি বৃদ্ধিতে তলিয়ে গেছে, পাবনা সদর, ঈশ্বরদী, সুজানগর ,ভাঙ্গুড়া, চাটমোহরের নিম্নাঞ্চলে বসত বাড়িতে পানি প্রবেশ করছে । জেলার চরাঞ্চলে (বাঁধের বাইরে) বসবাসকারী মানুষজনের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে, গো খাদ্য সংকট ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। পাবনার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জানান, আকস্মিক বন্যায় সদর উপজেলার দোগাছি, ভাঁড়ারা, চরতারাপুর ও হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৬৯২ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১ হাজার পরিবারের মানুষ। অব্যাহত থাকলে আরও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

চরকোমরপুর বন্যায় তলিয়ে গেছে ধান, মাসকলাই, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজের ক্ষেত। কৃষকরা কাঁচা ধান কেটে নিয়ে আসছেন।
পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনকে ত্রাণ সহযোগিতার প্রস্তুতি প্রশাসনের রয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন