পতিতাবৃত্তি করানোর অভিযোগে সাতক্ষীরায় যুবলীগ নেতা তুহিনের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা হয়েছে। এই মামলায় আসামী করা হয়েছে এক নারীসহ আরো আটজনকে। মামলায় বাদী হয়েছেন সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের এস আই মোঃ ফরিদ হোসেন।
তুহিন ছাড়াও অন্য আসামীরা হলেন, যশোরের মনিকতলা এলাকার রাসেল উদ্দিনের স্ত্রী সৃষ্টি আক্তার লতা (২৩), সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কাজিরহাটের আবু বকর ছিদ্দিকের ছেলে আব্দুর রহমান (২৬), খুলনার জিরো পয়েন্টের আব্দুল মজিদের ছেলে ইউনুছ আলী (৩৩), ইটাগাছার আতিয়ারের ছেলে শাহিনুর (৩৪), একই এলাকার রেজাউলের ছেলে মাসুম বিল্লাহ (৩০), খড়িবিলার রফিকুলের ছেলে রনি (২৩), ইটাগাছার আহম্মদ আলীর ছেলে মিলন গাজী (৩০) ও গড়েরকান্দার রফিকের ছেলে ইব্রাহিম ওরফে রাজা (২৫)। মামলায় আটজন গ্রেফতার থাকলেও যুবলীগ নেতা তুহিনুর রহমান তুহিনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে যে, সংগ্রাম টাওয়ারের নীচ তলায় অবস্থিত অভ্যর্থনা কক্ষ এবং ৫০১ ও ৫০২, ৪০৫ ও ৪০৬ নং রুমে কতিপয় ব্যক্তি পরস্পর যোগসাজসে পতিতালয় হিসেবে ব্যবহার করে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে অশালীন ভাবভঙ্গি দেখিয়ে স্থানীয় জনসাধারণকে আহবান করা হচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে গত সোমবার ওই হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে ৮ জনকে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আরো ৪/৫ জন পালিয়ে যায়। হোটেলের বিভিন্ন রুম থেকে কনডম উদ্ধার করা হয়।
এলাকায় প্রচার রয়েছে, প্রাণসায়ের পাড়ের খাস জমিতে বেড়ে ওঠা তুহিন কয়েক বছর আগেও ট্রাকের হেলপারি করতেন। কিন্তু যুবলীগে যোগ দিয়ে তিনি রাতারাতি আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। তার মায়ের নামে কয়েক লক্ষ টাকার এফডিআর করেছেন বলেও দাবি স্থানীয় যুবলীগ নেতাদের। এদিকে, তুহিনের ভাড়া করা হোটেল সংগ্রাম টাওয়ারে ডিবি পুলিশের অভিযানের পর তাকে পৌর যুবলীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন