সউদী আরবের বেশ কয়েকজন যুবরাজ এবং ব্যবসায়ীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) অ্যান ওল্ড ডিপ্লোমেট নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছু নথি প্রকাশ করে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভেরিফায়েড সেই টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত নথিতে দাবি করা হয়, সউদীর বেশ কয়েকজন যুবরাজ এবং কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীর সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সউদীতে ব্যবসায়ী এবং যুবরাজদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে এক বড় ধরনের অভিযান পরিচালনার পর এটা দেশটিতে হওয়া দ্বিতীয় অভিযান বলে দাবি করা হচ্ছে। সে সময় সউদীর বেশ কয়েকজন ক্ষমতাসীন যুবরাজকে রিটজ শার্লটন হোটেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। পরে তাদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
ওই টুইটার অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে যে, রিয়াদের উত্তরে অবস্থিত যুবরাজ শেখ আজলান আল আজলানের বিশাল এলাকাজুড়ে থাকা জমি বাজেয়াপ্ত করেছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ওই জমি বিক্রির চেষ্টা করছিলেন যুবরাজ শেখ আজলান আল আজলান। কিন্তু তাকে ওই সম্পদ বিক্রি থেকে বাধা দেয়া হয় এবং পরে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
অপর এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, যুবরাজ হামাদ বিন সাইদানের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রিয়াদ আল মুস্তাকবাল রিয়েল ইস্টেট, আবদুল রাহমান আল শেখ এবং মোহাম্মদ আল আইদানের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এছাড়া ওলায়া রিয়েল ইস্টেট কোম্পানি, ইউনিস মোহাম্মদ আল আওয়াদ, ইব্রাহিম বিন সাইদান এবং ইব্রাহিম আল হারাবি নামের বেশ কয়েকটি রিয়েল ইস্টেট কোম্পানির সম্পদ বাজেয়াপ্তের সিদ্ধান্তু নেয়া হয়েছে।
এছাড়া বাদশাহ সালমানের ভাই প্রিন্স বদর বিন আবদুল আজিজের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হবে। ওই তালিকায় প্রিন্স মুসা, আদিল আল মুসা এবং সালেহ সুকাইরের নামও রয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সউদী যুবরাজ ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে অনেক যুবরাজের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তাদের দীর্ঘদিন সউদীর বিখ্যাত রিটজ শার্লটন হোটেলে বন্দি করে রাখা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন