ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তার মা সায়েরা খাতুন।
আজ রোববার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি মানবতার মা। সম্রাট যেমন আমার সন্তান তেমনি আপনারও সন্তানতুল্য। সম্রাট ওপেন হার্ট সার্জারির রোগী। তার শারীরিক অবস্থা খুব-ই খারাপ। মা হিসেবে আপনার কাছে আমার আকুল আবেদন সম্রাটকে মুক্তি দিন। উন্নত চিকিৎসা দিয়ে তার জীবন ভিক্ষা দিন। পরে সম্রাটের মা অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্রাটের বোন ফারহানা চৌধুরী শিরিন। ইসমাইল চৌধুরীর মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় সম্রাটের ছোট ভাই রাসেল আহমেদ চৌধুরী সাংবাকিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
মায়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে ফারহানা চৌধুরী শিরিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি জানাতে চাই আপনি মমতাময়ী জননী, মানবতার মা, সম্রাট আপনার কর্মী, আপনার সন্তানতুল্য, সম্রাট আপনার সংগঠনে অনুপ্রবেশকারী নয়। আমি একজন মা হিসেবে আপনার কাছে আকুতি করছি সম্রাটের ভুল ত্রুুটি ক্ষমা করে ওকে মুক্ত করে দিন এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়ে আমার সন্তানের জীবন রক্ষা করুন। পরিশেষে বলতে চাই সম্রাট জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার তৃনমূলের পরীক্ষিত কর্মী। সম্রাটের নিঃশর্ত মুক্তির দিন।
সম্রাটের অফিসে ইয়াবা ও অস্ত্র পাওয়ার ঘটনা পরিকল্পিত ও সাজানো বলে দাবি বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সম্রাটের বাইপাস সার্জারী করে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক মদ্য পান তার জন্য মৃত্যুর কারন হতে পারে। তাই সে যেনে শুনে কখনো মদ পান করবে না। সম্রাট গ্রেপ্তারের ১০ দিন আগ থেকে অফিসেই ছিলনা, অফিস ছিল অরক্ষিত। শরীর খারাপ থাকায় অন্যত্র অবস্থান করছিল। তার অফিসে মদ, ইয়াবা, পিস্তল কিছুই ছিল না। আমাদের আশংকা এটি পরিকল্পিত সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই না।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ঢাকা শহরে প্রতিটি ক্লাব পরিচালনা করার জন্য কমিটি রয়েছে। খেলাধুলা পরিচালনা করার জন্য এই সকল ক্লাব থেকে নিপুন খেলা পরিচালনা জন্য ক্লাব কর্তৃক প্রকাশ্যে ডাক দেয়া হয়। আমার সন্তান স¤্রাট কোন ক্লাবের পরিচালনা কমিটির সদস্য নয়, এবং ডাক গ্রহনকারী ও নয়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে এবং ব্যাক্তিগত আক্রোশে তাকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে জড়ানো হচ্ছে। বন্য প্রানী সংরক্ষন আইনে যে মামলায় তাকে ৬ মাসের সাজা দেয়া হয়েছে সে মামলার আদেশ আমরা এখনো হাতে পাইনি। ক্যাঙ্গারু বাংলাদেশী বন্য প্রানী নয় এবং বাংলাদেশে এই প্রানীটির বিচরন দেখা যায় না। যেহেতু ক্যাঙ্গারুটি বাংলাদেশে শিকার করা হয়নি এটি বাংলাদেশের বন্য প্রানী সংরক্ষন আইনের মধ্যে পড়েনা। উক্ত ক্যাঙ্গারুর চামড়াটি এক প্রবাসী বাংলাদেশি তাকে উপহার হিসেবে প্রদান করে বিধায় এটি আইন বিরুধী কাজ নয়, এজন্য সাজা দেওয়ারও বিধান নয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৬ই অক্টোবর রোজ রবিবার আমার সন্তানকে গ্রেপ্তার করা হয়। যে স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় সে স্থান থেকে কোন প্রকার অস্ত্র কিংবা মাদক পাওয়া যায় নাই। কিন্তু আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পেলাম তাকে কাকরাইল অফিসে নিয়ে আসা হয় এবং প্রায় ৪ ঘন্টা ১৭ মিনিট তার অফিস তল্লাসি করা হয়। তল্লাসি চলাকালীন সময়ে কোন গনমাধ্যম কর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। স¤্রাটকে নিয়ে অফিসের ভিতরে প্রবেশের সময় বিভিন্ন মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচারে দেখা গেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু লোক কাঁধে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করে এবং অফিস থেকে বের হওয়ার সময় ওই সকল ব্যাগ লক্ষ্য করা যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন