শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

প্রসূতি মায়ের মুর্দার খাটের ছবি ভাইরালে তোলপাড়

প্রসব ব্যথা ওঠায় স্বজনরা মুর্দার খাটে করে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রসূতি মাকে

কুমিল্লা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০১৯, ৭:০৮ পিএম

লক্কর-ঝক্কর সড়কটি দিয়ে যানবাহন যেতে চায় না। পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়। আর একটু বৃষ্টি হলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী পড়ে। কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বলরামপুর গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশার কারণে গত মঙ্গলবার রাতে এক প্রসূতি মাকে গাড়ী বা এম্বুলেন্সে নয়, শেষ যাত্রার মসজিদের মূদারের খাটে করেই প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে প্রসুতি মায়ের আত্নীয় স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রসুতি মায়ের স্বজন শাহআলম জানান, মঙলবার রাত ৯ টায় হঠাৎ সোনিয়া (২২) এর প্রসব ব্যাথা ওঠে। পরে তার স্বজনরা কোন কূল কিনারা না পেয়ে বাড়ির পাশের মসজিদ থেকে মূর্দারের খাট এনে স্বজনরা পায়ে হেটে ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সদর ইউনিয়নের একটি বেরসকারী হাসপাতালে ভর্তি করায় সোনিয়াকে। ওই রাতে তিনি একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম দেয়। প্রসূতি মায়ের মুর্দারের খাটের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে কুমিল্লা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

ওই গ্রামের সারোয়ার হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, তিতাসের উপজেলার পাঙ্গাসিয়া থেকে দক্ষিণ বলরামপুর পযর্ন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি পরিণত হয় অবহেলিত সড়কে। এই সড়কে কোন প্রকার যানবাহন চলে না। অথচ এই সড়কের পাশে একটি প্রাইমারী স্কুল, একটি মাদ্রাসা রয়েছে। এছাড়াও এই গ্রামের ছেলে মেয়েরা প্রতিদিন বহু দূর-দূরান্ত থেকে পায়ে হেটে প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পাশ্ববর্তী এলাকার হাইস্কুলে আসা যাওয়া করতে হয়। বলরামপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, সড়কটির দুর্দশা ও বেহাল অবস্থার কারণে সমস্যায় পড়তে হয় ওই এলাকাসহ আশপাশের গ্রামগুলোর শত শত মানুষের। আর একটু বৃষ্টি হলে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরনবী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বছরের পর বছর বেহাল দশায় পড়ে থাকছে। সড়কটি নির্মাণের জন্য স্থানীয় এলজিআইডি অফিসে আবেদন করেছি কিন্তু এখনো সাড়া মেলেনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন