পাবনা জেলা ছাত্রলীগের নেতা আবু বক্কার সিদ্দিকী ওরফে রাতুলের পিস্তল হাতে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার পর তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। তাকে খুঁজছে পুলিশ। রাতুল পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং সদ্য বিলুপ্ত পাবনা জেলা ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক।
তিনি নাজিরগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোস্তফা কামাল বাবুর ছেলে। তাদের বাড়ি মানিকহাট ইউনিয়নের গাবগাছী গ্রামে। সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের সাথে থাকা আবু বক্কার সিদ্দিকী রাতুল এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিস্তল দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতুল পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় নিজ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে থাকেন।সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের সাথে থাকা সুবিধাভোগী আবু বক্কার সিদ্দিকী রাতুল এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিস্তল দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। আবু বক্কার সিদ্দিকী ওরফে রাতুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার ফেসবুক আইডিও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আলী বলেন, সে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করুক বা না করুক সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমাদের যেহেতু কমিটি নেই, সেজন্য সাংগঠনিক কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। কেন্দ্রকে জানাতেও পারছি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেবে আমরা মেনে নেবো। যদি কমিটি থাকত তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারতাম। ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, ফেসবুকে ছবিটি পোস্টের পরপরই আমরা খবর পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে অস্ত্রধারী ওই যুবককে আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা তাকে খুঁজছি। ইতোমধ্যে তাকে আটকের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন