ঢাকা মহানগর উত্তর এর অন্তর্গত উত্তরা পশ্চিম থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়ার পর অস্ত্র ও মদসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল আব্দুল রাজ্জাক জুয়েল। এছাড়া উত্তরায় কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয় দাতার তালিকায় রয়েছে সদ্য পদ পাওয়া এই নেতার নাম। পদ পাওয়ার পর পরই তার অস্ত্র ও মদসহ ছবি ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। উত্তরায় আওয়ামীলীগ নেতাদের প্রশ্ন এমন একজন কীভাবে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসে?
গত ১৫ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেনও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান রিদয় উত্তরা পশ্চিম, দক্ষিণ খান, মোহাম্মদপুর থানা ও কয়েকটি ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের কমিটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ করে। এতে উত্তরা পশ্চিমথানার সভাপতি হন শাকিল উজ জামান বিপুল ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জুয়েল। জুয়েলকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের একটি প্রেস রিলিজ ঘুরছে ফেসবুকে। অনেকেই অস্ত্র ও মদসহ দুটি পৃথক ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখছেন, জুয়েলের মত ছেলে ছাত্রলীগের পদ পায় কীভাবে।
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জুয়েল ইনকিলাবকে বলেন, তাকে কখনো ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। এছাড়া অস্ত্র ও মদসহ ছবি দুটি এডিট করা বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে কমিটি ঘোষণার সাথে সাথেই মহানগর সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণসম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়ের বিরুদ্ধের শুরু হয় পদ বাণিজ্যের অভিযোগ-সমালোচনা। এই কয়েকটি থানার কমিটি দিতে এক কোটি টাকা পদ বাণিজ্য হয়েছে বলে ফেসবুকে লেখালেখি করে এই থানাগুলোর নেতাকর্মীরা। দক্ষিণ খান থানা ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন সৌরভ কমিটি বাণিজ্যের সমালোচনা করে কয়েকটি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। ভাবিষ্যতে কমিটি বাণিজ্যের নানা দিক তুলে ধরবেন বলেও লিখেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন