গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর মৌজার লস্কর চালা এলাকার মানুষের একটাই প্রশ্ন ভূমি দস্যু শহিদুল্যাহ গংরা কি আসলেই অপ্রতিরোধ্য। না কি প্রশাসন জেনে শুনে ইচ্ছে করেই তাকে ধরছে না। এরা কোন অদৃশ্য শক্তির দারা পরিচালিত হচ্ছে যে, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না।
বিভিন্ন অপরাধে ১২ টির অধিক মামলা মাথায় নিয়ে তারা এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে। তাদের প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা ও অপরাধ মূলক কাজ দেখে এলাকা বাসি মনে করছেন তারা অপতিরোধ্য হয়ে পড়েছে এবং তাদের প্রতিরোধ করার মতো কোন আইন মনে হয় নেই। তা না হলে ১২ টির অধিক বিভিন্ন অপরাধমূলক মামলা মাথায় নিয়ে কিভাবে এলাকায় ঘুরে বেড়ায়।
বিভিন্ন একাধিক প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এই শহিদুল্যাহ গংরা এলাকার সরকারী জমি দখল করে ঘর বাড়ি তৈরি করেছে এবং সরকারি জমির জাল দলিল করে অনেকের নিকট বিক্রি করেছে। তার কাছে থেকে জমি কিনে অনেক সহজ সরল নিরীহ মানুষ প্রতারিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছ। সরকারি জমি দখলের সংবাদ এর আগে দৈনিক ইনকিলাবসহ একাধিক পএিকায় ছবিসহ প্রকাশিত হয়।
সরকারী জমি দখলের খবর প্রকাশ হওয়ার পর তৎকালীন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ডঃ দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর তাৎক্ষণিক ভাবে কাশিমপুর ভুমি অফিসের কয়েকজনকে ঘটনাসহলে পাঠান। তারা সেখানে গিয়ে অবৈধ ভাবে সরকারি জমিতে ঘর বাড়ি তৈরিতে বাধা দিলে শহীদুললাহ ভুমি অফিসের কমকতাদের সাথে বাক বিতণ্ডায় লিপ্ত হয় এবং কাজ বন্ধ না করে ঘর তৈরি করে।
বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানালে সরকারি জমি দখলের বিষয়টির সত্যতা পেয়ে জেলা প্রশাসক তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের নিদেশ প্রদান করেন।
মামলা দায়েরের পর বেশ কিছু দিন এরা গা ডাকা দিয়ে থাকলেও এখন তারা আবার প্রকাশ্যে ঘুরা ফেরা করছে এবং অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার কাজে নেমেছে।
তাদের এই অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারনে এলাকায় যারা বৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়েছে এবং নিয়মিত বিল পরিশোধ করছে তাদেরকে পড়তে হচেছ গ্যাস সংকটে। মাঝে মাঝে তাদের চুলা জলে না গ্যাসের এই অবৈধ সংযোগ দেয়ার কারনে।
এরই মধ্যে না কি শহিদুল্যাহ গংরা এলাকায় ৩ শতাধিক বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং এই সংযোগ দেয়ার কাজ অব্যাহ রেখেছে। রাজনৈতিক ছএছায়ায় এবং পুলিশের সহযোগিতা নিয়েই না কি এ অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া হচেছ।
নাম প্রকাশ না করার শতে এলাকার একাধিক সুএ এ প্রতিবেদককে জানান,অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার সময় একাধিকবার পুলিশকে জানানো হলেও পুলিশ তাদের ব্যস্ততা দেখিয়ে সেখানে যায়নি এমন কি পরেও এদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। ওই সুএ আরো জানায় পুলিশকে ম্যানেজ করেই না কি এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া হচেছ।
তা না হলে পুলিশ কে জানানোর পরও কিভাবে এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া হচেছ। পুলিশের সাথে যদি শহিদুল্যাহ গংদের যোগাযোগ নাা থাকত তা হলে পুলিশ পরের দিন হলেও ঘটনাসহলে যেত এবং এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিত। গত কয়েকদিন আগে দৈনিক ইনকিলাব এ গাজীপুুুরে চলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ লাগাম টেনে ধরবে কে? শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে গাজীপুরে তিতাস গ্যাস কতৃপঙসহ পুলিশ প্রশাসনে তোল পাড় শুরু হয়।
এই সংবাদটি পরে আরো একাধিক জাতীয় দৈনিক পএিকায় প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে পুলিশ বলছে শহিদুল্যাহকে খুজে পাওয়া যাচেছ না তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যে কোন সময় সে গ্রেফতার হবে। অপর দিকে এলাকার সুএ বলছে শহিদুল্যাহ এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচেছ। এলাকার মানুষের বক্তব্য ও পুলিশের বক্তব্যে গড়মিল রয়েছে।
অপর দিকে গাজীপুর তিতাস গ্যাস কতৃপঙ অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়টি জেনেও না কি কোন ব্যবস্থা নিচছে না।
এ ব্যাপারে গাজীপুর তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপক অজিত চন্দ্র দেব জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচছনন করনে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যে সকল এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছে তা বিচছিনন করা হবে এবং এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা
নেয়া হবে।
সরকারি জমি দখলকারী ও অবৈধ গ্যাস সংযোগকারী শহিদুল্যাহকে ধরতে পুলিশের অনিহা ও কালক্ষেপনে এলাকার সচেতন মহলে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করছেন পুলিশ ইচ্ছা করলেই যে কোন মুহুতে তাকে গ্রেফতার করতে পারে। কোন অদৃশ্য শক্তির জোরে সে গ্রেফতার হচেছ না।
এখনি এদের না দমালে এরা যেভাবে দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে পড়ছে পরে তাদের দমানো কঠিন হয়ে পড়বে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন