বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেছেন, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মা-বাবা, চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই আরো যতœবান হতে হবে। শিশুদেরকে শেয়ারমূলক কাজে উৎসাহিত করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক মা বাবা যেন তাদের সন্তানদেরকে নিরুসাহিত না করেন। শিশুদের মনের বিকাশ ও পরিশীলিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের প্রতি আমাদের সকলকে আরো যতœবান না হওয়ার বিকল্প নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অটিস্টিক শিশু, সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশু, নিউরোজিক্যাল ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত শিশু, প্রতিবন্ধিতার শিকার শিশু, মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের বিষয়ে সবসময়েই অতিমানবিক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে আসছেন এবং সকল ধরণের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের বিষয়ে তিনি সবসময়ই অত্যন্ত সচেতনতার সাথে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় সব কিছুই করা হবে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের শহীদ ডা. মিলন হলে শিশু ও বয়োসন্ধিকালীন কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমিতি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর চাইল্ড এন্ড এডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথের ২ দিনব্যাপী ১২তম বার্ষিক সম্মেলন ও সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের শিশুদের ১৩ দশমিক ৬ ও বড়দের ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত।
প্রো-ভিসি ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ের ন্যায় সমগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং এটা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বয়োসন্ধিকালীন কিশোর কিশোরীদের চিকিৎসা ও কল্যাণের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইল্ড এন্ড এডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথ উপর এমডি কোর্স চালু করা হয়েছে। আমাদেরকে অবশ্যই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি সমান গুরুত্ব দিয়ে সমদৃষ্টিতে দেখতে হবে। তাহলেই আমরা এক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারব।
বক্তারা বলেন, বহির্বিশ্বে মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত কোর্স সম্পন্ন ছাড়া এমবিবিএস ডিগ্রী সম্পন্ন হয় না। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং যারা মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আক্রান্ত তাঁদের সকলের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় দক্ষ চিকিসৎক তৈরি, দক্ষ জনবল তৈরি এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোর্স চালু করা জরুরি।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর চাইল্ড এন্ড এডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথ এর সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. ফারুক আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রফেসর ডা. মো. গোলাম রাব্বানী, প্রফেসর ডা. মো. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ এস আই মল্লিক, বিশিষ্ট লেখক ও চিকিৎসক প্রফেসর ডা. মোহিত কামাল, প্রফেসর ডা. ঝুনু শামসুন নাহার, বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এমএমএ সালাউদ্দীন কাউসার, প্রফেসর ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোরর্শেদ, ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ডা. সাদিয়া আফরিন, ডা. সিফাত ই সৈয়দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন