শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইরাকে সরকারের সাম্প্রদায়িক নীতির বিরুদ্ধে শিয়া-সুন্নি সম্মিলিত আন্দোলন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৯, ৪:১২ পিএম

ইরাকে কয়েক বছর ধরে কিছুদিন পরপরই বিক্ষোভ হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মাসে ফের শুরু হয় বিক্ষোভ। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এই বিক্ষোভ মূলত অনুষ্ঠিত হচ্ছে শিয়া এলাকাগুলোতেই।

রাজধানী বাগদাদ ছাড়া সুন্নি কিংবা কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলে এখনও তেমন একটা ছড়ায়নি। কিন্তু এটা আসলে কোনো শিয়া বিদ্রোহ নয়।
আন্দোলনের প্রকৃতি ও বিক্ষোভকারীদের বহন করা বিভিন্ন প্রতীক ও স্লোগানগুলো দেখলেই সেটা স্পষ্ট। এই আন্দোলনে শিয়া নেতাদের উপস্থিতিও খুব একটা নেই। শিয়া-সুন্নি রাজনীতির যে বিভাজন মূলত তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই একজোট হয়েছে জনতা।

এ আন্দোলনে সরকারের সাম্প্রদায়িক নীতির বিরুদ্ধে একদিকে যেমন সমাজের বেকার যুবকরা যোগ দিয়েছে, অন্যদিকে তাতে সমর্থন দিচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রধানত শিয়া ও সুন্নি- এই দুই সম্প্রদায় নিয়ন্ত্রিত ইরাকের রাজনীতি। ক্ষমতাসীন সরকারও উভয় সম্প্রদায়ের ঐকমত্যের ভিত্তিতে চলছে।

কিন্তু এ ব্যবস্থায় সাধারণ জনগণকে ধর্মীয় ও জাতিগত পরিচয়ে দেখা হয়। প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলো তাদের নিজ নিজ পরিচয় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তৈরি হয়েছে এলিট শ্রেণি। এতে রাজনৈতিক বিভাজন আগের চেয়ে আরও বেড়েছে।

ফলে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী একপেশে হয়ে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিবেদন মতে, ধর্মভিত্তিক এলিট শ্রেণির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতেই একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছে সাধারণ ইরাকিরা।

কয়েক বছর ধরে যে ধরনের বিক্ষোভ বা আন্দোলন হচ্ছে, এবারের আন্দোলন সেগুলো থেকে অনেকটাই আলাদা। এবারের বিক্ষোভ হয়েছে সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে। এই বিক্ষোভ কারও ডাকে হয়নি।

কোনো সংগঠন, কোনো দল বা গ্রুপ এর আয়োজন করেনি। গত মাসের শুরুতে রাজধানী বাগদাদের রাজপথে যে বিক্ষোভ শুরু হয়, সেটা মূলত সরকারি সেবার অপ্রতুলতা ও বেকার সমস্যার মতো বিভিন্ন আর্থসামাজিক দাবিকে কেন্দ্র করে।

সরকারের ব্যাপক দমন-পীড়ন সত্তে¡ও প্রতিদিনই এ আন্দোলন বিস্তৃত হয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে সঙ্গে মধ্যবিত্ত শ্রেণি এতে যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে যেমন শিয়ারা রয়েছে, তেমনিভাবে সুন্নি ও কুর্দিরাও রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন