রংপুরের পীরগাছায় এনজিও কর্মী স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের চৌধুরাণী বাজারের ব্র্যাকের শাখা অফিসে।
নিহত এনজিও কর্মী তাসলিমা আক্তার লুনি (২৫) উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের সুবিদ গ্রামের তোজাম্মেল হকের মেয়ে ও ব্র্যাকের চৌধুরাণী শাখার হিসাব রক্ষক।
গলায় ফাঁস দিয়ে নিহত আব্দুল্লাহ আল মাসুদ স্বপন গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের রঘুনাথ গ্রামের শামছুল আলম মাস্টারের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এনজিও কর্মী তাসলিমা আক্তার লুনির সঙ্গে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ স্বপনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর প্রায় তিন বছর মাসুদ প্রবাসে থাকাকালীন আয়ের সম্পন্ন অর্থ স্ত্রী রুনির একাউন্টে পাঠায়। পরে গত চার মাস আগে স্বপন বাড়িতে ফিরে আসলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দুই জনের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরেই জের ধরে স্বপন সোমবার সকালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চাইনিজ কুড়ালসহ রুনির কর্মস্থল ব্র্যাক অফিসে উপস্থিত হয়। এসময় ওই অফিসের অন্যান্য কর্মীদের মাঠে থাকার সুযোগে ফাঁকা অফিসে রুনির উপর চাইনিজ কুড়াল দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে রুনির মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে স্বামী স্বপন ওই অফিসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক সহকর্মী অফিসে ফিরে বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে রুনিকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে পথিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এসআই মাসুদ রানা বলেন, ফাঁসে ঝুলে থাকা অবস্থায় চৌধুরাণী ব্র্যাক অফিসে স্বপন নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাসুদের লামের সুরতহাল রিপোর্ট করে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। রুনির লাশ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন