শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র মজুদের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ১৯৮০’র দশক থেকে মিয়ানমার রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ করছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত সোমবার নেদারল্যান্ডের হেগে রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) সদর দফতরে এই তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সহকারী সচিব থমাস দি নান্নো।

সংস্থাটির বার্ষিক সভায় নান্নো জানান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ভারী মাস্টার্ড গ্যাস উৎপাদনের একটি ক্ষেত্রে এখনো রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত রয়েছে। তাদের কনভেশন লঙ্ঘন করার বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হাতে আসা উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এটা নিশ্চিতভাবে বলছে যে, মিয়ানমার স্পষ্টতই রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন লঙ্ঘন করছে। কেননা এর আগে তারা তাদের অতীত রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে কিছু জানায়নি এবং এখনো তারা তাদের রাসায়নিক অস্ত্র ক্ষেত্রটিও ধ্বংস করেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইস্যুটি নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করেছে ওয়াশিংটন। অস্ত্র ধ্বংস করতে মিয়ানমারকে সহায়তা করার জন্যও প্রস্তুত আমরা।’

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ১৯১তম দেশ হিসাবে মিয়ানমার আনুষ্ঠানিকভাবে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনে (সিডাব্লিউসি) স্বাক্ষর করে। কনভেনশন অনুযায়ী স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার, উৎপাদন কিংবা মজুত নিষিদ্ধ। কনভেনশনের মাধ্যমে গঠিত সংস্থা ‘ওপিসিডাব্লিউ’ মুলত বিশ্বে রাসায়নিক অস্ত্রের বিষয়টির ওপর নজরদারি করে।

ওয়াশিংটনের তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমার ১৯৮০’র দশক থেকে রাসায়নিক অস্ত্র বানানো ও মজুদ করা শুরু করেছিল। ২০১৫ সালে ‘সিডাব্লিউসি’তে সাক্ষর করার পর তাদের সেই মজুদ ধ্বংস করার কথা ছিল। কিন্তু, তারা সেটি না করে সিডাব্লিউসি’র আইন অমান্য করছে।

এর আগেও মিয়ানমার এ জাতীয় অস্ত্র সংরক্ষণ ও ব্যবহারের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছিল। ২০০৫ সালে লন্ডন ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ক্রিশ্চিয়ান সলিডারিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড অভিযোগ করেছিল, সাবেক সামরিক জান্তা কারেন সম্প্রদায়ের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। ২০১৩ সালে দেশটির পুলিশ উত্তরের একটি তামার খনিতে বিক্ষোভকারীদের দমাতে ফসফরাস গ্যাস ব্যবহার করেছিল। যার ফলে বিক্ষোভকারীরা গুরুতর দগ্ধ হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে মিয়ানমারে পাঁচ সাংবাদিককে ১০ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিল। কারণ তারা সামরিক বাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন করার ব্যাপারে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন। সূত্র : এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
AeroEng Syed Remon ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
সহমত। তাদের কাছে থাকতে পারে।
Total Reply(0)
OFF যাও ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
USA should impose higher level of sanction on Myanmar ... Block all the trade and co-operation. Take military action if necessary
Total Reply(0)
Biman Ashraful ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
Should monitor under UN. They are becoming dengerous.
Total Reply(0)
Hafizur Rahaman ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
থাকতে পারে কি! অবশ্যই আছে না হলে একটা দেশ এমন সৈরাচার কেমনে হয়! আমার তো মনে হয় মিয়ানমান অলরেডি এটা রোহিংদের উপর ব্যবহার করেছে!!
Total Reply(0)
Syed Nabil Islam ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
আছেই তো! গুটি তৈরির রাসায়নিক অস্ত্র আছে
Total Reply(0)
Golam Mortuja ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
So, stiff action must be taken against them to ensure the world as a safer & more habitable place. ATTACK!
Total Reply(0)
Hrri Doy ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
ঠিক এই সুযোগটা কাজে লাগানো যায় মিয়ানমারের বিরূদ্ধে,যদি আমাদের হাদারামরা একটু বুঝে।
Total Reply(0)
Alamin Sorker ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
এটা সত্যি। মিয়ানমার এর কাছে অনেক পুরাতন অস্ত্র আছে।
Total Reply(0)
Nurujjaman Bijoy ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগকে সত্য প্রমাণিত করে প্রথমে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়াটায় হবে সময়ের সেরা সিদ্ধান্ত, এখন যেহেতু বন্ধু চীন রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারের বিপক্ষে অবস্থান করছে।
Total Reply(0)
OmarFaruq ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:৪২ এএম says : 0
মায়ানমার কে শক্ত করে ধরা দরকার এবং তাহা অতি তারাতাড়ি ।।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন