শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

লন্ডন থেকে ১৯ কোটি পাউন্ড পাকিস্তানে ফেরত আসবে

লন্ডনে মালিক রিয়াজের সম্পত্তি বিক্রি হবে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:১৫ এএম

পাক রিয়েল এস্টেট টাইকুন মালিক রিয়াজের লন্ডনের হাইড পার্কের ফ্ল্যাট বিক্রি থেকে ১৯ কোটি পাউন্ডের আপোষ-রফার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। তবে মালিক রিয়াজের পরিবারের সম্পত্তির তদন্তে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘এনসিএ’ এ সম্পত্তিতে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখছে।

গত মঙ্গলবার মালিক রিয়াজ টুইট করে বলেছিলেন, ‘আমি বাহরিয়া টাউন করাচি মামলায় পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের কাছে ১৯ কোটি পাউন্ড জমা দেয়ার জন্য যুক্তরাজ্যে আমাদের আইনত ও ঘোষিত সম্পত্তি বিক্রি করেছি।’ তবে, মালিক রিয়াজের সম্পদ বিক্রি করার ফলস্বরূপ এই বন্দোবস্ত হয়েছে কি না, তার জবাবে এনসিএ’র একজন সিনিয়র যোগাযোগ কর্মকর্তা পাক বার্তা সংস্থা ডনকে জানান, ‘এনসিএ এই সম্পত্তির দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে এবং তা নিয়ম অনুযায়ী বিক্রি করা হবে।’

এই বিবৃতির আলোকে স্পষ্টত যে, ৫ কোটি পাউন্ডের সম্পত্তিটি বিক্রির বিষয় এখন প্রশ্নের মুখে। লন্ডনের ১ নং হাইড পার্ক প্লেসটির দখল এখন ব্রিটিশ অপরাধ সংস্থার কাছে রয়েছে এবং এর বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত যে কোনও তহবিল তাদের হাতেই থাকবে যতদিন না মালিক রিয়াজ ও তার পরিবার পাকিস্তানে ফিরে যাবেন। বাহিয়া টাউন মামলায় সম্মত অর্থ প্রদানে মালিক রিয়াজ কীভাবে এই তহবিল ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছেন তা স্পষ্ট নয়।
চলতি বছরের মার্চ মাসে বিচারপতি শেখ আজমত সাইদের নেতৃত্বে পাক সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য বাহরিয়া টাউন কর্তৃক ৪৬০ বিলিয়ন রুপি দেয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। যার মধ্যে সিন্ধু সরকারের মালির উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে জমি অনুদান দেয়ার কথা ছিল।

মঙ্গলবার এনসিএ বলেছিল যে, তারা মালিক রিয়াজের সম্পত্তি ও বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের বিষয়ে এক মাস দীর্ঘ তদন্তের পরে তার পরিবারের কাছ থেকে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদানের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।

পাকিস্তান তাহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) ক্ষমতায় আসার পরপরই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে রিয়াজের মালিকানাধীন সম্পত্তি এবং সম্পদের তদন্তে এনসিএর পদক্ষেপের প্রথম রেকর্ডটি প্রকাশ পেয়েছিল। অপরাধ সংস্থাটি চলতি বছরের ১৪ আগস্ট এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘এনসিএ আটটি ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার আদেশ দিয়েছে, যাতে মোট ১০ কোটি পাউন্ডের বেশি জমা আছে। এসব টাকা বিদেশি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ এবং দুর্নীতি থেকে প্রাপ্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।’

পাকিস্তানের অন্যতম ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব মালিক রিয়াজের প্রতিষ্ঠানে দেশটির ব্যক্তিগত মালিকানা খাতের সবচেয়ে বেশি কর্মী কাজ করেন। বিত্তশালী ও অভিজাত আবাসিক এলাকার মালিকানার জন্য তার খ্যাতি রয়েছে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দাতব্য কর্মকা-ের জন্য তার ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে।

এতে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদরা বিপুল সম্পদ দেশের বাইরে পাচার করেছে বলে যে অভিযোগ তার সরকার করে আসছে, তার ফিরিয়ে আনতে তিনি এখন পর্যন্ত সফল হননি। সূত্র : ডন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
শফিক রহমান ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
পাকিস্তানকে একটি মিসকিন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে মালিক রিয়াজের মত ধনাঢ্য ব্যবসায়ী বড়লোক নওয়াবজাদা সাহেবজাদারা বাংলাদেশেও এমন ধনাঢ্য শ্রেণীর সৃষ্টি হয়েছে
Total Reply(0)
নীল প্রজাপতি ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:২১ এএম says : 0
দুর্নীতিবাজদের কি অবস্থা।
Total Reply(0)
নাসিম ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১:২২ এএম says : 0
এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
Total Reply(0)
Mohammed Kowaj Ali khan ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:৫৮ এএম says : 0
ভোট চুন্নির বিচার কখন শুরু হইবে? ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন