শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চ্যান্সেলর হওয়ার ১৪ বছর পরে আউশভিৎস মেমোরিয়ালে মার্কেল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৪:৪৮ পিএম

গত চোদ্দ বছর ধরে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও এই প্রথম ‘আউশভিৎস-বার্কেনাউ মেমোরিয়াল’-এ পা রাখলেন আঙ্গেলা মার্কেল। শুক্রবার হিটলারের নাৎসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে যেয়ে হলোকাস্টের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য ৬ কোটি ইউরো (৪৭৩ কোটি টাকা) সরকারি অর্থসাহায্য ঘোষণা করলেন তিনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন হলোকাস্টের সময়ে পোল্যান্ডের অশচিয়ামচিমে তৈরি করা হয়েছিল এই জার্মান নাৎসি ক্যাম্প। ‘আউশভিৎস-বার্কেনাউ কনসেনট্রেশন অ্যান্ড এক্সটারমিনেশন’ ক্যাম্প এখন প্রদর্শনীশালা। কোনও কোনও ক্যাম্প শুধুই কনসেনট্রেশন ক্যাম্প ছিল। মাত্রাতিরিক্ত খাটানো, খেতে না দিয়ে মারা হত ইহুদি বন্দিদের। এক্সটারমিনেশন ক্যাম্পগুলোয় বন্দিদের এক দিনও বাঁচিয়ে রাখা হত না। মূলত গ্যাস চেম্বার বা গ্যাস ভ্যানে ঢুকিয়ে হেত্যা করা হত। আউশভিৎসে দু’টি ক্যাম্পই ছিল। নাৎসি অধিকৃত পোল্যান্ডে ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে খুন করা হয়েছিল। মিউজ়িয়ামের ডিরেক্টর পিয়ৎর সিভিয়িসকি বলেন, ‘আউশভিৎস এখন প্রদর্শনীশালা হয়ে গেলেও বিশ্বের সব চেয়ে বড় কবরস্থান... বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।’ হলোকস্টে ৩০ লাখেরও বেশি ইহুদিকে খুন করা হয়েছিল।

‘আউশভিৎস-বার্কেনাউ ফাউন্ডেশন’-এর দশম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মার্কেলকে। সেখানেই তিনি অর্থসাহায্য ঘোষণা করেন। অর্ধেক অর্থসাহায্য দেবে জার্মানির ফেডারেল সরকার। বাকি অর্ধেক সাহায্য করবে আঞ্চলিক সরকার। আউশভিৎস-বার্কেনাউ ক্যাম্পে এই প্রথম গেলেও অন্য কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে গিয়েছেন মার্কেল। হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা ইহুদিদের সঙ্গে দেখাও করেছেন।

ওই অর্থ দিয়ে বার্কেনাউ ক্যাম্পে ৩০টি ইটের তৈরি ব্যারাক, পুরনো রান্নাঘর, শৌচাগার সারানো হবে। সিভিয়িসকি বলেন, ‘বাড়িগুলো মজবুত করে তৈরি করা হয়নি। দীর্ঘদিন এই বাড়ি দাঁড়িয়ে থাকবে, এমন পরিকল্পনা তো ছিল না। বার্ষিক ৪৬ লাখ ডলার থেকে ৫১ লাখ ডলার প্রয়োজন সংরক্ষণের জন্য।’ তিনি জানিয়েছেন, দশ বছর আগে ক্যাম্পটি সংরক্ষণের জন্য তহবিল গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ ওঠেনি। বছর দুয়েক আগে একাধিক দেশের কাছে সাহায্য চান সিভিয়িসকি। জার্মানিই প্রথম এগিয়ে এল। তবে এর আগে আমেরিকা ও পোলান্ড সরকার বড় অঙ্কের অর্থসাহায্য করেছিল। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন