শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আসামে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৫:০৭ পিএম

ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (এনআরসি) লোকসভার পর এবার রাজ্যসভাতেও পাস হয়ে গেছে। যার প্রতিবাদে ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের পরিস্থিতি। এবার যার প্রভাব পড়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের বাড়িতেও। বিক্ষোভকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর গিব্রুগড়ের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করেছে।

মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের এক কর্মকর্তা জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত এই আক্রমণের কারণে বাড়ির জানালার বেশ কিছু কাঁচ ভেঙে পড়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দিব্রুগড়ের এসপি গৌতম বড়ুয়া। কেবল সর্বানন্দের বাড়িই নয়, স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক প্রশান্ত ফুকান এবং দলের দিব্রুগড় জেলা সভাপতি সুভাষ দত্তের বাড়িতেও আক্রমণ হয়েছে।

এ দিকে বিতর্কিত এই বিল পাসের প্রতিবাদে এরই মধ্যে গোটা রাজ্যে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। যে কারণে আসামের গুয়াহাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। এমনকি রাজ্যের দশটি জেলায় বুধবার (১১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজ্যের গুয়াহাটি, ডিব্রুগড়সহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে শামিল হয় বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন। এমনকি বহু লোক সড়কে নেমে নগ্ন হয়েও তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ ক্রমশ প্রশাসনের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।

অপর দিকে বিক্ষোভকারীদের রোষানলে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়াল। এমনকি গুয়াহাটির বিজেপি সাংসদ কুইন ওঝার বাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়েছে জনতা। বিতর্কিত এই বিলের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস ইউনিয়ন।

কেবল আসামেই নয়, গোটা ত্রিপুরা, মণিপুর এবং অরুণাচলেও চলছে এনআরসিবিরোধী বিক্ষোভ। তবে পরিস্থিতি যে হাতের বাইরে যেতে পারে, এর আশঙ্কাও করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যে কারণে সোমবার লোকসভায় বিল পেশের সময় তিনি বলেছিলেন, ‘এনআরসির মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের স্বার্থ দেখা হবে, তাই এই বিক্ষোভ-আন্দোলনের কোনো প্রয়োজন নেই।’ এ ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা যে কেউই কানে তোলেননি, তা এ দিনের বিক্ষোভ থেকেই পুরোপুরি স্পষ্ট। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Miah Muhammad Adel ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৬:৪৩ পিএম says : 0
Let India split up.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন