বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় ইজারাদার

চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক

কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম | আপডেট : ৮:১৬ এএম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

সরকার ঘোষিত সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে (মঙ্গলবার) কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক উন্মুক্ত রেখে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে। পার্কের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বন্ধের দিন সাফারি পার্ক খোলা রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি কর্মচারিরা।
অপরদিকে পার্কের অভ্যন্তরে জমে থাকা ময়লা আবর্জনা বন্ধের দিনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নিয়ম থাকলেও ওইদিন পার্ক খোলা থাকায় হাজার হাজার দর্শনার্থী নোংরা পরিবেশে পার্ক পরিভ্রমন করে।সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের (বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়) আদেশ ও নিয়মনীতি লঙ্গন করে বন্ধের দিন গতকাল মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক খোলা রাখায় এলাকাবাসির মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে গিয়ে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক বন্ধের দিন সাফারি পার্ক খোলা রেখে ইজারাদার বাবুল সিকদার (রিজভী এন্টার প্রাইজ) পার্ক কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজের মাধ্যমে সরকারি আদেশ অমান্য করে পার্ক খোলা রাখে।
ওইদিন পার্ক পরিভ্রমনে আসা প্রায় ১০/১২ হাজার দর্শনার্থীর কাছ থেকে ৫০ টাকা টিকেটের স্থলে ৭০ টাকা করে বিক্রি করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু ওই টিকিট বিক্রির একটি টাকাও সরকারের সংশ্লিষ্ট কোষাগারে জমা পড়েনি।
ফলে সরকার প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। ইজারা চুক্তিপত্রে উল্লেখ রয়েছে পার্ক মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে। কিন্তু টাকার লোভে সে নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্ক খোলা রেখে নিয়মবর্হিভূতভাবে টাকা আদায় করা হয়।
এ ব্যাপারে সাফারি পার্কের গেইট ইজারাদার বাবুল সিকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বন্ধের নিয়ম থাকলেও পর্যটন মৌসুমে অতিরিক্ত দর্শনার্থী থাকায় সাফারি পার্ক খোলা রাখা হয়।
এ ব্যাপারে পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল মালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ইজারাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, স্থানীয় এমপির বিশেষ সুপারিশে বন্ধের দিনে পার্কে দর্শনার্থী প্রবেশ করানো হচ্ছে। অনুমতিপত্র তার হাতে নাই এবং রাজস্ব বিষয়টি বিভাগীয় কর্মকর্তা বলতে পারবেন বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাছের মো. ইয়াছিন নেওয়াজের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন