শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

‘সুযোগ পেলে’ আগ্রহী সুজন

স্পোটস রিপোটার, চট্টগ্রাম থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

ঢাকার বিসিবি কার্যালয় থেকে একদিকে যখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্টকে ছেড়ে দেওয়ার খবর, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম সরগরম খালেদ মাহমুদ সুজনের এক কথায়। একদিকে ল্যাঙ্গাভেল্টের দলে যাওয়াকে বিসিবির জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করেন না এই বোর্ড পরিচালক, পাশাপাশি স্থানীয় কোচদের সুযোগ দেয়া নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গেও একমত নন বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের টিম ডিরেক্টর।
গতকাল খেলা না থাকায় চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বেশ কিছু ক্রিকেটার নিয়ে ঐচ্ছিক অনুশীলন সরেছেন খুলনার টিম ডিরেক্টর সুজন। কোচ জেমস ফস্টার ও টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবালের সঙ্গে একপ্রান্তে কিছুক্ষণ শলাপরামর্শও করেনিলেন। জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক বিসিবির পরিচালক হওয়ায় খুব স্বাভাবিকভাবেই উঠে এল ল্যাঙ্গাভেল্টের প্রসঙ্গ। মাত্র ছয় মাস পরই এই প্রোটিয়ার দেশের দায়িত্ব নিতে বিদায় নেওয়া বিসিবির জন্য বড় ধাক্কা কি না, এ প্রশ্নের জবাবে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘খুব যে বড় বেশি ধাক্কা আমি বিশ্বাস করি না। কারণ আমাদের ছেলেরা এখন অনেক কোচিং পেয়ে গেছে আসলে। অনেক কোচের অধীনেই ছিল। আমার মনে হয় দ্রুতই কাউকে নিয়ে নেবে বিসিবি। তাই হয়তো গ্যাপটা থাকবে না। দলের প্রধান কোচ আছেন, বাকি ম্যানেজমেন্ট আছে। একজন কোচ আসেন, চলেও যান। এটাই নিয়ম। কিন্তু আমাদের অবশ্যই একজন বোলিং কোচ লাগবে।’
কোচ আসবে আবার চলেও যাবে, এটাই নিয়ম তা না হয় বোঝা গেল। কিন্তু জাতীয় দলের খেলার মান বাড়াতে কোচদের দীর্ঘ মেয়াদে রাখাটা তো প্রয়োজন। তাই চুক্তিপত্রে এ শর্তটা থাকা উচিত কি না, এ প্রশ্ন করতেই বিসিবি পরিচালক মনে করিয়ে দিলেন, ‘সব চুক্তিপত্রেই কিন্তু এমন (শর্ত) থাকে। আবার একটা শর্তও থাকে দুই পক্ষই কোনো সমস্যা থাকলে নোটিশ দিয়ে টার্মিনেশন করতে পারবে। তবে আমি দীর্ঘ মেয়াদের পক্ষে। একটা দল গোছাতেও সময় লাগে। তাই লম্বা সময় হলে অবশ্যই ভালো।’
অন্যান্য দেশে সাবেক ক্রিকেটারদের হাতে জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে নেওয়ার নজির কম নেই। খালেদ মাহমুদ নিজেও দু-বার অস্থায়ী ভিত্তিতে দেশের জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। সাবেক এ অলরাউন্ডার তাই পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ পেলে আগ্রহী কি না এমন প্রশ্নও ছুটে গেল তাঁর দিকে। খালেদ মাহমুদের জবাব, ‘সুযোগ তো পেলে সবাই আগ্রহী হবে। আমার পেশা তো কোচিং, আগ্রহের ব্যাপার অবশ্যই আছে। এর আগেও দু-বার আমি বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি, যদিও বলাই ছিল সেটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। তারপরও যখন থাকি, কিংবা ফল খারাপ হয় তখন মনটা খারাপ লাগে।’
বাংলাদেশ দলে যখনই কোনো কোচের পদ খালি হয়, তখনই বিকল্প হিসেবে বিদেশি কোচের দিকেই নজর থাকে বিসিবির। মাঝে-মধ্যে অন্তঃবর্তীকালীন কোচ হিসেবে দেশি কাউকে নিয়োগ দেওয়া হলেও পূর্ণ মেয়াদে ছিলেন না কেউই। কারণ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মতে, স্কিলে বিদেশিদের থেকে দেশের কোচরা অনেক পিছিয়ে। কিন্তু বিসিবি সভাপতির এ মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন দুবার অস্থায়ী ভিত্তিতে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব পালন করা সাবেক এই অধিনায়ক। তার মতে, বিদেশিদের মতো তারাও সমান দক্ষ, ‘পাপন ভাই কেন বলেছেন আমি জানি না। আমি মনে করি না স্কিলের দিক থেকে দেশিরা পিছিয়ে আছে। ক্রিকেট আসলে ফিক্সড টেকনিক্যাল একটা খেলা। এটাতে কাভার ড্রাইভ, স্কয়ার-কাট যখন মারবে, তখন একই টেকনিকে সব ব্যাটসম্যান মারে। কেউ কিন্তু অন্যভাবে মারতে পারবে না, এটা কিন্তু আপনি বলতে পারবেন না। হতে পারে উনি হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন যে কাগজে-কলমে আমরা পিছিয়ে আছি। হতে পারে গেম প্ল্যানিং... সেখানে কিন্তু আমাদের ছেলেরা যথেষ্ট ভালো কাজ করছে। স্কিলের দিক থেকে আমি মনে করি না কেউ পিছিয়ে আছি আমরা।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন