শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি না হওয়ায় উদ্বেগ

কপ-এ জলবায়ু অর্থায়ন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে (কপ-২৫) দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ু অর্থায়নে সুনির্দিষ্ট কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বীমা সংস্থাসহ মুনাফাভোগী ব্যাক্তিমালিকানাধীন খাত প্রসারের পরিকল্পনায় হতাশা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল টিআইবি থেকে পাঠানো এক বার্তায় উদ্বেগ ও হতাশার কথা জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, ‘স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে (কপ-২৫) দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ু অর্থায়নে সুনির্দিষ্ট কোনো অগ্রগতি না হওয়ায়, ‘ক্ষয়-ক্ষতি’ মোকাবিলায় আলাদা তহবিল গঠনে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে ‘জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অনুমিত অবদান’ এর প্রতিশ্রæতি হালনাগাদ হয়নি এবং সর্বোপরি কপ-২৪ সম্মেলনে গৃহীত প্যারিস চুক্তির খসড়া ‘রুলবুক’ বা বাস্তবায়ন নির্দেশিকা চ‚ড়ান্ত হয়নি।
বার্তায় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, শিল্পোন্নত দেশের প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী ২০২০ সাল থেকে ‘নতুন’ এবং ‘অতিরিক্ত’ অর্থ হিসাবে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের বিষয়টি কপ-২৫ সম্মেলনের আলোচনায় স্থান না পাওয়ায় জলবায়ু অভিযোজন খাতে অনুদান ভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, ওয়ারশো ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজমের আওতায় ‘ক্ষয়-ক্ষতি’ মোকাবিলায় শিল্পোন্নত দেশ ক্ষতিপূরণ প্রদানে আলাদা তহবিল গঠন, ক্ষতিপূরণ প্রদানের নীতিমালা ও কর্ম পদ্ধতি নির্ধারণ এবং মেকানিজমটির চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে বলে প্রত্যাশা ছিল অংশীজনের। কিন্তু বিষয়গুলো নিয়ে সম্মেলনে কোন সিদ্ধান্ত না হলেও উল্টো ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলায় বীমা ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে মুনাফাভোগী বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে ২০২০ সালের মধ্যে প্যারিস চুক্তিভুক্ত দেশগুলো জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অনুমিত অবদানের (আইএনডিসি) প্রতিশ্রæতি বৃদ্ধি ও তা হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত সম্মেলনের শেষ দিনে প্রত্যাহার হওয়া এবং স্বচ্ছতা কাঠামো সম্বলিত প্যারিস চুক্তির ‘রুলবুক’ এর বাস্তবায়ন নির্দেশিকা প্রস্তুতে দেশগুলোর ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারাটা হতাশাজনক। এই বিষয়গুলো পরবর্তী কপ-২৬ সম্মেলনে আলোচনার জন্য রেখে দেওয়ায় কার্যত ২০২০ সাল থেকে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নকে অসম্ভব করে তুলেছে বলে মনে করে টিআইবি।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সাল থেকে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুত জলবায়ু তহবিল বিশেষকরে অভিযোজন এবং ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদী অনুদান নির্ভর অর্থায়ন নিশ্চিত করা, প্যারিস চুক্তির সঠিক বাস্তবায়নে কার্যকর জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বাংলাদেশের উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ সকল দেশের অংশগ্রহণে সমন্বিত ক্লাইমেট ডিপ্লোমেসি জোরদার করার দাবি জানিয়েছে টিআইবি।
অন্যদিকে প্যারিস চুক্তির আওতায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতে যে ‘স্বচ্ছতা কাঠামো’ প্রস্তাব করা হয়েছে তাও আইনি ভিত্তির মাধ্যমে বাধ্যতামূলক করে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে পরবর্তী সম্মেলনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা অনিশ্চয়তায় পড়বে। যা কারও কাম্য হতে পারে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন