সারা দেশে প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে গতকাল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন চার্চে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে খ্রিস্টান স¤প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন পালিত হয়েছে। শুভ বড়দিন উপলক্ষে ঝলমল সাজে সাজানো হয়েছিল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি গির্জা। ফুল আর বাহারি বেলুনে ভরে উঠে গির্জাগুলো। দেয়ালে ঝুলছে লাল-সবুজ রঙের নকশা করা লাইটের ঝালর। ভেতরে-বাইরে সর্বত্র আলোকসজ্জা। গতকাল সকালে তেজগাঁও ক্যাথলিক চার্চে অনুষ্ঠিত হয় সবচেয়ে বড় প্রার্থনা অনুষ্ঠান।
পুরান ঢাকার ল²ীবাজার, জনসন রোড, সায়েদাবাদ, তেজগাঁও, কাকরাইল, মিরপুর, কাফরুল, মোহাম্মদপুর, গুলশান, বনানী, ইস্কাটন, সায়েদাবাদসহ রাজধানীর নানা জায়গায় ছোট-বড় গির্জাতেই ছিল উৎসবের রঙ। শিশুদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণ ছিল শান্তক্লজ।
কাকরাইল গির্জা প্রাঙ্গণে দেখা গেছে বেশ কিছু স্থাপনা। প্রতিটি স্থাপনা সাজানো হয়েছিল শৈল্পিকভাবে। ফটক দিয়ে একটু ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ে শন ও বেত দিয়ে সাজানো প্রতীকী গোয়ালঘর। আশপাশেই রয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। গির্জা প্রাঙ্গণ ঝকঝকে, তকতকে। এতে বিচ্ছুরিত হচ্ছে আলোর রোশনাই। ২৪ ডিসেম্বর মধ্য রাত থেকেই চলে প্রার্থনা।
খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট ২৫ ডিসেম্বর বেথেলহেম নগরীতে অলৌকিকভাবে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টান স¤প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাস যিশু খ্রিস্ট মানুষের রূপ ধরে পৃথিবীতে এসেছিলেন সব পাপ থেকে মুক্তি দিতে আর মানবিক বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করতে। তার এই আগমনকে স্মরণ করে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা শ্রদ্ধা ভালোবাসায় বিশ্বব্যাপী জাকজমকপ‚র্ণভাবে দিনটি উদযাপন করেন। তবে বাংলাদেশীদের কাছে এই দিনটির পরিচয় বড়দিন হিসেবে।
প্রার্থনায় চার্চের ফাদার বলেন, ‘আমরা এসেছি প্রভুকে দেখতে। এই খ্রিষ্টজাগের মধ্যে দিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ করতে। এসো, আমাদের অযোগ্যতা স্বীকার করি। অযোগ্যতা আছে আমাদের দেশ, পৃথিবীর, সমাজের। অযোগ্যতা আছে ব্যক্তি জীবনে, আছে পারিবারিক জীবনে। প্রভু যিশুকে আমাদের ঘরে স্থান দিয়ে সবকিছু এই গোসালার ন্যায় অনুভব করে প্রভু পরমেশ্বরের ভালোবাসা গ্রহণ করি। তারই আগমনে হবে সব পাপের ক্ষমা।’ এরপর সবাই মিলে পাপ মোচনের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
প্রার্থনা শেষে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা সমবেত সংগীতের মধ্য দিয়ে যীশুর বিভিন্ন দিক নির্দেশনা তুলে ধরেন। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন