মিজানুর রহমান তোতা
ভালোবাসায় বিষাক্ত ঘুনপোকা
ভালোবাসা ভালোবাসা হদয়ের ভালোবাসা,
অতি সাবধানে খুব যতেœ রাখলাম রঙীন ঘরে।
একটুও ত্রুটি করেনি, দেয়নি দৃষ্টির আড়ালে
কখনো যেতে। ভালোবাসাকে আমি অনেক
ভালোবাসতাম। কিন্তু ভালোবাসা আমাকে
বাসেনি ভালো।
ভালোবাসার ভিখারী রঙ্গমঞ্চে নেচে বিনিময়
করেছি অন্তরঙ্গ মুহূর্তের অব্যক্ত কথা। হঠাৎ
দেখলাম ভালোবাসার বৃক্ষটি নড়াচড়া করছে।
অনুসন্ধিস্যু মনে ভালোবাসার কাছে জিজ্ঞাসা
করলাম তোমার দেহটা শুকিয়ে নড়বড়ে কেন।
উত্তর মিললো না।
অসঙ্গতির কাহিনী আবিস্কারে হতচকিত হয়ে
আদর করলাম। জোরে কাছে টেনে নিলাম।
বৈচিত্রেভরা ভালোবাসা আমার কোলে ঢলে
পড়লো। নিথর পড়ে আছে বিশাল ভালোবাসা।
ভেতরটা দেখার চেষ্টা করলাম। দেখলাম হয়ে
গেছে বিষাক্ত ঘুনেপোকায় ফোকলা।
এস এম রাকিব
অন্ত্যজ আয়না
বারুদ নিশ্বাস, উপচে পড়া তরল প্রেম
পাওয়া না পাওয়ার নিষ্ঠুর ক্যালিগ্রাফি,
অন্ত্যজ আয়না- পাব্ লো পিকাসোর
দুর্বোধ্য রেখাচিত্র।
ডানায় সঞ্চিত বিন্দু বিন্দু স্বপ্ন নিয়ে
শেষবার নদী পার হওয়া গাঙ্ চিল,
পেছনে ফেলে আসা উদ্দাম ডুব সাঁতার,
লাউ ডগার বাড়ন্ত শুঁড়ের খুজে ফেরা
অপার নির্ভরতা।
ক্ষেপাটে ইচ্ছেরা বয়সের মলাটে রঙিন প্রচ্ছদ,
ই›ন্দ্রীয় জুড়ে ভাইরাল মেয়াদোত্তীর্ণ প্রেম,
বিবস্ত্র উষ্ণতায় মোড়া অতিন্দ্রীয় সুখ,
যাযাবর মন,
ভ্রান্তির ডুবোচরে বেখেয়াল ধ্বংসের খুনসুটি।
অর্ণব আশিক
সহজিয়া
সময় খুঁড়ে দেখি আমি
তোমার কষ্টেরা খোঁজে শেকড়ের ডানা
দুঃখগুলো জমে জমে স্তুপ
সুখের নেই কোন উঠানামা।
কষ্ট খুঁড়ে কেউ দুঃখের না পায় গভীরতা
মাপতে মাপতে কষ্ট তোমার বুকে ব্যথা
কষ্টগুলি তখনো কিশোর কি প্রখর যন্ত্রণা
কষ্ট খুঁড়ে দেখি, অন্ধ চোখ, তুমি অপলোক,
ভাবো মানুষ হবে মানুষ, দেবোতা না
সময় খুঁড়ে বেড়ে উঠে দুঃখের খুদকণা।
আউয়াল আনোয়ার
একটি বছর
শেষ চিহ্ন এঁকে যায় একটি বছর
শেষ চিহ্ন ভ্রান্তিবিলাস
চুপিচুপি একটি বছর
এপাশে কেউ আর থাকেনা অপেক্ষায়
ওপাশে ?
মাত্র একটি বছর
এখনও শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
এখনও শরৎ হেমন্ত বসন্ত
এখনও পাখির ডাক
এখনও মাঙ্গলিক ভ্রমণ
চুপিচুপি একটি বছর
নতুন বছর
স্বপ্নঘুড়ি উড়ছে তোমার ভূমধ্যসাগর।
আলী এরশাদ
যাওয়ার ক্রমিক নেই
কেন যে মরণ নিয়ে মানুষের মনে এত ভয়
সত্যকে স্বীকার করে এ বেদনা ভুলে থাকা যায় ;
জগতের কে না জানে? প্রাণীকুল অমর তো নয়
কর্মই বাঁচাতে পারে নেই আর দ্বিতীয় উপায়।
নির্বোধ প্রাণীর মাঝে কেন হলো গাধাদের স্থান!
কে আছে মানুষ ছাড়া নদীতীরে বাঁধে বলো ঘর?
বালির বাঁধের মতো ভেঙে যাবে সাজানো বাগান
জেনেও জমায় ধন যদিও তা হবে তার পর।
যাওয়ার ক্রমিক নেই কে শুনেনি বলো এই কথা
দুনিয়াটা দু›দিনের এখানে সবাই মুসাফির ;
কোলাহল শেষ হলে সব স্থানে আসে নিরবতা
পালাবার পথ নেই পৃথিবীর একটি প্রাণীর।
স্থায়ী নয় কোনকিছু এই ভেবে করো যদি কাজ
শান্তির শীতল ছায়া মনমাঝে করবে বিরাজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন