মড়ক নামা
নাহার আলম
মড়ক লাগছে পথে-ঘাটে
লাগছে পাড়া, স্কুল আদালত মাঠে
মড়ক লাগছে মানবিকতায়
লাগছে সড়কের পাশবিকতায়
মড়ক লাগছে দলে, নি-দলে
লাগছে পাহাড়, নদী,জলে, গাছ, পাতা ফলেও
সমতার পুষ্টিময় কথাগুলো অসুস্থ পুঁজির মমতায় লুটায় গোবরমাখা কাদায়
পরকীয়ার কামুক দাবানল
ছড়ায়ে সরকার নমিতা মাসি এক ঠ্যাং খাড়া করে দাঁড়িয়ে দাঁত কেলায়, পাহাড় টলায়, নষ্ট ছলাকলায়, দিন রাতের ফারাক ভোলায়...
নিমিষেই মড়কে পুইড়া ছাই হয়া যায় দিনু কাকার ঘর, মিষ্টি মনির বর, পুড়ে মোকসেদ মাস্টর, পোড়ে তারও ঘর...
বিপরীতে স্বপ্নেরা অনুতাপে করে রাত্রি জাগরণ
মলমবিহীন মড়কে দেশ দশ এখন মুমূর্ষু অথবা লাশবৎ!
মড়ক লাগছে সংসারে সমাজে
লাগছে কাঁচা পাকা বেবাক মগজে
ক্ষতচিহ্ন আঁকে শকুনের চোখ বুক
সমূহ ধ্বংসের ভিড়ে বিপন্ন মানবতার বেসামাল অসুখ
খুবলানো রক্তমাখা পাঁজর করে ধুকপুক
পুঁজির অতল আগুনে পুইড়া অঙ্গার ধনী গরীব বৈষম্য রেখা
শোষণের হিজাবে মুখ ঢেকে এভাবেই সদর্পে হেঁটে চলে তরল সুন্দরী —
আমার, তোমার, আমাদের মুদ্রাসখা...
তবুও এসো
সুপান্থ মিজান
সৌন্দর্যের অপরুপ ঝর্ণাধারা
যার পরশে জেগে উঠে ঘর-বাড়ি চারিপাশ
প্রকৃতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছে দাও আগমণ বার্তা
স্বপ্নে ভাসি। ছোঁয়ে যাওয়ার বাসনায়--
সখিনার মার স্মৃতির পাতা ছিঁড়ে ফেলি
রঙবেরঙের পাতার আবরণে ঢেকে রাখ রূপ
বিমুগ্ধ নয়নে অবলোকন করি রুপ রস যৌবন
কখনও কখনও উত্তাল ঢেউ নিয়ে পার ভাঙার নেশায়
লিপ্ত হও কপোলের উত্তর পশ্চিম কর্ণে কালির
মুর্তি নিয়ে ধ্বংস লীলায় মেতে উঠ
সাবার কর প্রকৃতির যৌবনীফসল
বাসন্তীর খালার চৈতালী রুপ ভুলে গিয়ে-
তবুও পাবার বাসনায় উন্মুখ হয়ে থাকি
তবুও তুমি এসো হে বৈশাখী।
অমানুষের বিচরণ
হোসেইন আহমদ চৌধুরী
এই কোলাহল মুখর শহরের অলিগলি, রাজপথ ধরে
হেঁটে চলেছি দু’জন, হ্যাঁ হেঁটে চলেছি নিরবধি
আমি আর আমার আদ্যিকালের সঙ্গী নিঃসঙ্গতা।
এই শহর জানে, ঢালু পথে ছুটে চলা জলের মতোন
তাপহীন অনুতাপহীন বেশুমার সময় হয়েছে গতো
শুধু পালতক সময়, হিসেবের বেহিসেবী খাতায়!
এই জনারণ্যের মানুষের নৈমিত্তিক গল্পের পাতায়
অবিকল আমারই মতো আরেকজনের হাঁটাহাঁটি
নিরন্তর আথালিপাথালি অবাধ বিচরণ
একটা অমানুষের, জলজ্যান্ত মানুষের ভূমিকায়!
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন