বিচারিক প্রক্রিয়ার পবিত্রতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া ও সুবিধা বঞ্চিত মনুষের মানবাধিকার রক্ষায় জনস্বার্থের মামলা এখন সহায়ক ভূমিকা রাখছে। মানবাধিকার বিষয়ক বিচারব্যবস্থায় জনস্বার্থের মামলা দেশীয় মডেল হিসেবে বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।
গতকাল শনিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে সুপ্রিমকোর্ট অনলাইন বুলেটিন (স্কব) আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, ১৯৯৬ সালে ড. মহিউদ্দিন ফারুক বনাম বাংলাদেশ মামলা দিয়ে সুপ্রিমকোর্টে জনস্বার্থ মামলার বিষয়ে বিচারিক ভূমিকার পরিধি বাড়ানোর যাত্রা শুরু করে। তিনি বলেন, জনসাধারণের ভুল, জনস্বার্থে ক্ষত ও সাংবিধানিক বিতর্ক সমাধানে জনস্বার্থ মামলা সাধারণ মানুষের নাগালে একটি কার্যকর বাহন।
এ পদ্ধতি অত্যন্ত প্রশংসিত তবে পাবলিক তোষণ অবশ্যই বিচারকদের প্রভাবিত করবে না এবং ব্যক্তিগত অতিরঞ্জিত এড়ানো উচিত। এ ক্ষেত্রে বিচারিক প্রক্রিয়ার পবিত্রতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করতে হবে। জনস্বার্থ মামলায় জনগণের মঙ্গলের জন্য আইন ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে বিচার বিভাগের সক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের জাতির সার্বিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
‘স্ট্যান্ডিং ইন পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন : অ্যান আউটলাইন’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও স্কব এডিটর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন