শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভুয়া সঞ্চয়পত্র দেখিয়ে ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ

দম্পতি গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ২১টি ভূয়া সঞ্চয়পত্র জমা দিয়ে প্রায় নয় কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গতকাল দুপুরে সিআইডির সদর দফতরে সাংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানান সিআইডির ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন।

তিনি জানান, গত ৭ জানুয়ারি খুলনা মহানগরীর খালিশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এইচ এম এ বারিক ওরফে বাদল ওরফে বাদল হাওলাদার ওরফে মোস্তাক আহমেদ এবং তার স্ত্রী মুরশিদা আফরীনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া ওই দম্পতি সংষবদ্ধ ভুয়া সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘ দিন থেকে রাজধানী ঢাকার কয়েকটি ব্যাংকে একই ব্যক্তির একাধিক নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে এবং বিভিন্ন নাম-সর্বস্ব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুলে ভূয়া সঞ্চয়পত্র, এফডিআরের বিপরীতে স্বনামে- বেনামে ব্যাংক লোন নিয়ে প্রতারণা করে আসছে। ইতোমধ্যে তারা ২১টি ভূয়া সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে প্রায় ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সিআইডির ওই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতার হওয়া দম্পতির ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি টাকার অধিক অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া তাদের নামে ঢাকার গুলশানে প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের একটি ৯তলা বাড়ী, উত্তরায় শত কোটি টাকা মূল্যের একটি ৬তলা বাড়ী, উত্তরখান এলাকায় কোটি টাকা মূল্যের একটি দ্বিতলা বাড়ী, একাধিক ফ্ল্যাট, গাড়ী ও জমির সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে মোস্তাক হাওলাদার একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি প্রায় ১৬ বছর থেকে পালাতক ছিলেন।

ফারুক হোসেন আরো জানান, মোস্তাক তার স্থায়ী ঠিকানার বসতবাড়ী বিক্রি করে কিছুদিন ভারত ও মালয়শিয়াতে আত্মগোপন করে ছিলেন। সে ২০১১ সালে দেশে ফিরে আবার পুরানো কৌশলে প্রতারণা শুরু করে। ভূয়া সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক তার ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০০৪, ২০১১ ও ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা পশ্চিম ও মোহাম্মদপুর থানায় ৭টি মামলা দায়ের করে। সিআইডি মামলাগুলোর তদন্তের দায়িত্বভার নেয়। তদন্তে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানায় ২০০৪ সালে এবি ব্যাংক বাদি হয়ে দায়ের করা মামলায় তিনি ৩ মাস কারাভোগ করেন। এই চক্রের অন্যতম সদস্য এবি ব্যাংক ধানমন্ডি ব্রাঞ্চের তৎকালীন ব্যবস্থাপক আসিরুল হক ২০০৬ সালে গ্রেফতার হন। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন