শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতা গোপন করা হচ্ছে- রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:০০ পিএম

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতা গোপন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তিনি এখন কি অবস্থায় আছেন তা কাওকে জানতে দেয়া হচ্ছে না। তাঁর সাথে স্বজনদের দেখা-সাক্ষাত করতে দেয়া হচ্ছে না। তাঁর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী ও পাতি নেতারাও কুৎসিত ‘ডার্ক হিউমার’ করে যাচ্ছেন। পিজি (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড তাঁর স্বাস্থ্য সম্বন্ধে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে তাঁর বর্তমান অবস্থায় এডভান্স চিকিৎসা দরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কারণ অন্যায়ের বিরুদ্ধে বারবার জোরালোভাবে দাঁড়ানো এই নেত্রীকে কোনভাবেই সহ্য করতে পারছে না সরকার ও সরকারপ্রধান। এজন্য এক দুর্বিষহ মাষ্টারপ্ল্যান নিয়ে সরকার কাজ করছে। বর্তমান সরকারপ্রধান মতভিন্নতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করেন বলেই দেশনেত্রী আজ কারাগারে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ইভিএমকে ভেল্কিবাজীর মেশিন হিসেবে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইভিএম দিয়ে ডিজিটাল ভোট ডাকাতির মহড়া হলো গত ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ আসন উপ-নির্বাচন এবং হাইমচরের উপজেলা নির্বাচনের ভোটে। ওটা ছিল প্রস্তুতি ম্যাচ। সেখানে প্রমাণ হয়েছে ভোটার ছাড়াই ইভিএমে নৌকার প্রার্থীদের কিভাবে পাশ করানো সহজ। এটি হলো মধ্যরাতের নির্বাচনের মতো ভোট ডাকাতির আরেকটি কৌশল। ইভিএম হলো মহাপ্রতারণার নতুন পদ্ধতি। এতে ডিজিটাল ডাকাতির পর অভিযোগ করারও সুযোগ নেই। মামলার সুযোগ নেই, একজন ভোটার কোথায় ভোট দিলেন জানারও সুযোগ নেই। তাহলে এর চেয়ে ভোট চুরির বড় মাধ্যম আর কী হতে পারে?

তিনি বলেন, কার্যত: ইভিএমে সুষ্ঠু ভোটের ন্যুনতম সুযোগ নেই। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনও চট্টগ্রামের মতো দখলের নীলনক্শার প্রস্তুতি কি না তা নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। ঢাকাতেও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রচারণার সময়ে গ্রেফতার অভিযান করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এখন গ্রেফতার চলছে, অভিযানও চলছে, আক্রমণ চলছে, হামলা চলছে এবং হামলার মাধ্যমে একটা ভয়ভীতির পরিবেশ তারা সৃষ্টি করেছে। প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছে সরকারী দলের প্রার্থীরা। ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে সন্ত্রাসী। বেছে বেছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাও নিয়োগ দেয়া হয়েছে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসাবে দায়িত্বে থাকবে সরকারের আস্থাভাজন চিহ্নিতরা।

সিটি নির্বাচনও নির্বাচন কমিশন কলুষিত করতে চায় মন্তব্য করে রিজভী বলেন, বিএনপি’র সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজকে লালবাগ কেল্লার মোড় থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার শুরু করেছে। পাশাপাশি বিএনপি সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীসহ সমর্থকদের ওপর চলছে সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া হামলা-নির্যাতন। নির্বাচন কমিশনের নির্বিকার থাকা প্রমাণ করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকেও তারা কলুষিত করতে চায়। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধারাবাহিকভাবে বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর চলছে জুলুম-নির্যাতন। মীর নেওয়াজও সেই জুলুমের শিকার।তিনি মীর নেওয়াজ আলীকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন