রাজশাহীর বাঘায় নির্মাণ কাজের নি¤œমানের মালামাল ব্যবহারে বাধা দেয়ায় ঠিকাদারের ছেলের ও হাতে প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদ মারপিটের শিকার হন। এ ব্যাপারে আওয়মী লীগ নেতা ঠিকাদারের ছেলে সেলিম আহমেদকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয় তিনি গতকাল নির্মাণ কাজ স্থলে গিয়ে ইট ও খোয়াসহ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দেখে কাজ বন্ধ রেখে সিডিউল মোতাবেক কাজ করার নির্দেশ দিয়ে অফিসে চলে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রকৌশলীর উপজেলা কার্যালয়ে যান সেলিম আহম্মেদ সরকার। সেখানে গিয়ে রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় অফিসের বারান্দায় তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে, অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে গলাধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং মরাপিট করেন। এতে মাথায় লেগে আহত হন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহম্মেদ। অভিযুক্ত সেলিম আহম্মেদ সরকার বাঘা পৌর আ’লীগের সভাপতি ও ঠিকাদার আব্দুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার (এলজিইডি)এর অধীনে ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয়ে বাঘা-চারঘাটের হাইওয়ে সড়ক থেকে চৌকিদারপাড়া মোড় হতে হাবাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৫০০ মিটার রাস্তার বিটুমিনাস কার্পেটিং করণের কাজ পান, রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান “মমো এন্টার প্রাইজ’’এর ঠিকাদার আমিরুল কবির। তার কাছ থেকে কাজটি কিনে নেন, স্থানীয় ঠিকাদার ও বাঘা পৌর আ.লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার।
কাজটি গত বছরের ১৫ মে থেকে শুরু হয়ে একই বছরের ১৪ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শুরু করা হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। এজন্য সাইডে ইট, বালু, খোয়াসহ নির্মাণ সামগ্রী ওই রাস্তায় ফেলেন কুদ্দুস সরকার। যার দেখভাল করেন তার বড় ছেলে সেলিম আহম্মেদ সরকার। গতকাল কাজটি পরিদর্শনে যান বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদ। দেরিতে কাজ শুরুর বিষয়ে ফরিদ আহাম্মেদ বলেন, কাজের নির্ধারিত সময় পার হলে সময় বর্ধিত করণের জন্য আবেদন করতে হয়। কিন্তু সেটাও করা হয়নি। অভিযুক্ত সেলিম আহম্মেদ সরকার, মারধরের অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়েছে। কাজ বন্ধ রাখার কারণ জানতে গিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে জানান বাঘা থানা পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন