দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের মঞ্চ থেকে এবার নরেন্দ্র মোদির সরকারের সমালোচনা করলেন মার্কিন-হাঙ্গেরীয় ধনকুবের ও দানবীর জর্জ সোরস। ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় গণতন্ত্রকে মোদি ‘ধ্বংসের মুখে’ ঠেলে দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোরস বলেন, ‘কাশ্মীরের মতো মুসলিম প্রভাবিত অঞ্চলে মোদি সরকারের কঠোর পদক্ষেপ একটা বড় আশঙ্কার বিষয়। মোদির হিন্দু রাষ্ট্র বানোনোর তাগিদে দেশের লাখ লাখ মুসলমানকে তাদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিচ্ছেন।’ সরাসরি না বললেও তিনি যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের কথাই বলতে চেয়েছেন, সোরসের মন্তব্য থেকে তা স্পষ্ট।
ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের এই মঞ্চ থেকেই তিনি সমালোচনা করেছেন আমেরিকা, চীন, রাশিয়ার মতো শক্তিশালী দেশগুলোকে। বিশ্বজুড়ে কী ভাবে রাষ্ট্রনেতারা একনায়কতন্ত্রকে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছেন সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরে দুঃখপ্রকাশ করেছেন সোরস। এর পরই ভারতের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মোদির শাসননীতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সিএএ’র বিরোধিতায় ভারতের অভ্যন্তরে যে ভাবে একটা সরগরম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যে ভাবে জনমত নির্বিশেষে সকলেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন, তা নিয়ে মোদিকে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। সমালোচনাটা এত দিন সীমাবদ্ধ ছিল দেশের অভ্যন্তরেই। এ বার সমালোচনাটা এল দাভোসের মঞ্চ থেকে।
শুধু মোদিই নয়, সোরসের নিশানায় ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তাকে এক জন প্রতারক হিসেবেও উল্লেখ করেছেন সোরস। নিজের স্বার্থ দেখতে গিয়ে ট্রাম্প দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতেও ইতস্তত করেন না বলেও দাবি সোরসের। শুধু তাই নয়, ভোটে জেতার জন্য ট্রাম্প যা খুশি করতে পারেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
পরিবেশের বিপন্নতা এবং বিশ্ব জুড়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা নিয়েও মুখ খোলেন সোরস। তার দাবি, এটা অতিশয়োক্তি হবে না যে, ২০২০ এবং আগামী বছরগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর ভবিতব্যই শুধু নির্ধারণ করবে না, সঙ্গে গোটা বিশ্বেরও ভবিষ্যত্ নির্ধারিত করবে। সূত্র: সিএনবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন