ঢাকার চারিপাশের নদীর তীরভ‚মিতে উন্নয়ন কাজের নামে অতিরিক্ত অবকাঠামে নির্মাণ করা হবে না। যতটুকু না হলে নয়। ঢাকা চারিদেকে নদীর পাড়ে সবুজ বনায়ন করা হবে বলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.আবদুস সামাদ। ঠিক ততটুকুন করা হবে। নদীর তীর ভ‚মিতে ওয়াকওয়ে, পার্কিং, বাই-সাইকেল ওয়ে, কিছু কিছু স্থানে এমপি থিয়েটার, দৃষ্টি নন্দন পার্ক বরা হবে।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ) ভবনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এর সভাপতিত্বে ঢাকার চারদিকে নদীর তীরভ‚মিতে সামাজিক বনায়নে আগ্রহী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের সহিত এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অনল চন্দ্র দাস, যুগ্ম-সচিব মনোজ কান্তি বড়াল, বিআইডকিবøউটিএ’র চেয়ারম্যান গোলাম সাদিক, সদস্য অর্থ নুরুল আলম এবং সদস্য পরিকল্পনা ও পরিচালন মো, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সভায় ঢাকার চারদিকে স¤প্রতি উদ্ধারকৃত তীরভ‚মিতে উন্নয়নের পাশাপাশি সবুজায়ন করার লক্ষ্যে সামাজিক বনায়নের কর্মসূচী গ্রহন করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় সচিব বলেন, আমরা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছি।এটা একটা পার্টনারশীপ। এটা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের কোন বিষয় নয়। এটা সরকারেরই প্রতিশ্রুতি এবং সারা দেশের ১৬ কোটি মানুষের মনের আকাঙ্খা। আবদুস সামাদ বলেন, ১৯৭৬ এর পূর্বে তিনি দেখেছেন, বুড়িগঙ্গা পাড়ের মানুষ এই নদীর পানি পান করছে।এই পানিকে নদীর ময়লা পরিষ্কার করে পুনরায় খাবার উপযোগী করা হবে। নদীর ময়লা পরিষ্কার করার জন্য ১ টি গ্রেব ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। এটি সংগ্রহ করতে প্রায় ১৮ মাস লাগবে। তাছাড়া গ্রেব ড্রেজার ভাড়ায় পাওয়া গেলে এখন কাজ শুরু করার বিষয়টি ও দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর, হংকং, ইউরোপ, আমেরিকার সহ বিশ্বের বহু দেশ ভ্রমন করেছেন, কিন্তু, কোথাও এক টুকরা কাগজ কাউকে ফেলতে দেখেননি। সিঙ্গাপুর সিটি দেখলে মনে হবে যেন ফুলের বাগানের ভিতর একটি দেশ তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা শহরে যে যেভাবে পারছে, দূষিত করছে। তিনি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণের পর কোদাল নিয়ে কোমড়ে গামছা পেচিয়ে নদীর পাড় এবং গাছের গোড়া পরিষ্কারে নামবেন বলে মনোবাসনা ব্যক্ত করেন। আবদুস সামাদ বলেন, ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকার চারিপাশের ৫ টি নদীর পাড়ের অবৈধ দখল অপসারন কাজ চলমান রয়েছে। পর যায়ক্রমে সারা দেশব্যাপী নদীর তীরভ‚মি কে সস্পূর্ণভাবে অবৈধ দখলের কবল মুক্ত করা হবে। এক ইঞ্চি পরিমান জায়গাও অবৈধ দখলে থাকবে না। সরকার ইতিবাচক আছে।
নৌপরিবহন সচিব বলেন, ঢাকার চারিপাশের নদীর তীরভ‚মিতে উন্নয়ন কাজের নামে অতিরিক্ত অবকাঠামে নির্মাণ করা হবে না। বরং যতটুকু না হলে নয়, ঠিক ততটুকুন করা হবে। নদীর তীরভ‚মিতে ওয়াকওয়ে, পার্কিং, বাই-সাইকেল ওয়ে, কিছু কিছু স্থানে এমপি থিয়েটার, দৃষ্টি নন্দন পার্ক এবং ঢাকা ব্যাপী নদীর পাড়ে সবুজ বনায়ন করা হবে। বিআইডবিøউটি গাছ লাগাবে। নিম, পাকুড়, নারিকেল, সুপারি, তাল, খেজুর সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বৃক্ষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন