অগণিত ভক্তের অংশগ্রহণে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাÐারীর ১১৪তম বার্ষিক ওরশ গতকাল শুক্রবার মাইজভাÐার দরবারে শেষ হয়েছে। শাহসূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল-হাসানীর ইমামতিতে জুমার নামাজ আদায় করেন লাখো মুসল্লি। রাতে মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাÐারীয়ার সভাপতি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, মাইজভাÐার দরবার অসা¤প্রদায়িকতা চর্চার পাদপীঠ। মানুষে মানুষে মিলন ও স¤প্রীতির ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাদায়ী দর্শনই হচ্ছে মাইজভাÐারী দর্শন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী, সৈয়দ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী। বক্তব্য রাখেন মাইজভাÐারী ট্রাস্টের মহাসচিব কাজী মহসীন চৌধুরী, খলিফা কবীর চৌধুরী, শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান আহসানুল কবীর রিপন। পরে অসংখ্য ভক্ত জনতার মাঝে তবরুক বিতরণ করা হয়।
সমাজকে ব্যাধিমুক্ত করতে হবে
শাহসুফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান বলেছেন, সমাজকে ব্যাধিমুক্ত করতে হলে আগে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করতে হবে, অন্তরের ব্যাধি তাড়াতে হবে। সততা, নীতি-নৈতিকতা ও সর্বক্ষেত্রে শুদ্ধ জীবন যাপনই হবে স্রষ্টা পথের পাথেয়। তিনি গতকাল সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাÐারীর ওরস মাহফিলে আখেরি মোনাজাতের আগে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। ওরস উপলক্ষে সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাÐারী ট্রাস্ট ১০ দিনব্যাপি কর্মসূচি পালন করে।
এরমধ্যে ছিল ‘আলোর পথে’ ও ‘দি মেসেজ’ আয়োজিত বিশেষ মহিলা মাহফিল, ‘দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পে বেকার, পুঁজিহীন, কর্মক্ষম উদ্যোগী ব্যক্তিদের আর্থিক অবস্থা উত্তরণে যাকাতের অর্থ ও সামগ্রী বিতরণ, শিশু-কিশোর সমাবেশে তিন সহ¯্রাধিক শিশু-কিশোরের মিলনমেলা, উলামা সমাবেশ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধসহ ১২৫ জন শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি প্রদান, আন্তঃধর্মীয় সম্মিলন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন