ইসরাইলের দখলে নেয়া পূর্ব জেরুজালেমের একটি মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসময় মসজিদটির বাইরের ভবনের গায়ে হিব্রæ ভাষায় গ্রাফিতি আঁকা হয়েছিল। এ ঘটনায় অবৈধ দখলদার ইসরাইলি বসতির উচ্ছৃঙ্খল ও উগ্র কিশোরদের দায়ী করা হচ্ছে। দখলদার দেশটির পুলিশের এক বিবৃতিতে জানা গেছে, বাইত সাফাফায় একটি মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তাদের ডাকা হয়েছে। এতে জেরুজালেমজুড়ে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়েছে। ইসরাইলি আরব আইনপ্রণেতা ওসামা সাদি বলেন, এটা বিদ্বেষপ্রসূত হামলা। তারা কেবল গ্রাফিতি লিখেই ক্ষান্ত হয়নি, মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তারা পবিত্র কুরআন পুড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় মেয়র ইসমাইল আওয়াদ বলেন, অগ্নিসংযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর তিনি পুলিশ ডেকেছেন। সেখানে একটি খালি পেট্রোলের কৌটা পড়েছিল। এছাড়া ভস্মীভূত কক্ষে আগুন ছড়িয়ে দিতে সহায়ক বিভিন্ন পদার্থ পাওয়া গেছে। মূল ভবনের কাঠামো ঠিক থাকলেও ভেতরের নামাজের কক্ষ পুড়ে গেছে বলে খবরে দাবি করা হয়েছে। পুলিশের মুখপাত্র রোজেনফেল্ড বলেন, রাতে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি। আমরা সন্দেহভাজনদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে এটা ইসলামবিদ্বেষী কোনো ঘটনা কিনা, তা বলেনি পুলিশ। এএফপি সাংবাদিকের দেখা গ্রাফিতিতে কুমি ওরি নামটি লেখা রয়েছে। অধিকৃত পশ্চিমতীরের বাইরে উত্তরে একটি ছোট্ট বসতির নাম কুমি ওরি। টাইমস অফ ইসরাইলের খবরে দাবি করা হয়, ওই বসতিতে সাতটি পরিবার বসবাস করে। যাদের মধ্যে একডজনের মতো অতি উচ্ছৃঙ্খলা কিশোর রয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ফিলিস্তিনি ভূখন্ড দখল করে গড়ে তোলা এসব বসতি অবৈধ। এই বসতিতে বাস করা বেশ কিছু কিশোর ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংস হামলা চালিয়ে আসছে। তবে মসজিদের অগ্নিকান্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আরব নিউজ, এএফপি, টাইমস অব ইসরাইল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন