গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকারের মৃত্যুতে আসন্ন উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে সাদুল্লাপুর উপজেলা আ’লীগ একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।
গতকাল বুধবার উপজেলা আ’লীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের একক মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী হিসাবে সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহারিয়া খাঁন বিপ্লবের নাম ঘোষণা করেন নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি খন্দকার জিল্লুর রহমান জানান, গত ২৭ ডিসেম্বর সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার মারা যান। ফলে এ আসনে অনুষ্ঠিতব্য উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হতে অনেক আগ্রহী ব্যক্তি পোস্টার ও ব্যানারে জনগণের দোয়া চাইছেন। এ অবস্থায় বিভ্রান্তি দূর করতে উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় সভায় নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে সাহারিয়া খাঁন বিপ্লবকে দলীয় একমাত্র প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দেয়া হলো।
তিনি আরও জানান, বিগত ২০১৩ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময় জামায়াত-শিবিরের হাতে নির্যাতিত নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাহারিয়ার খান বিপ্লব। উপজেলা ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে এসে তৃণমুলের নেতাকর্মীসহ এলাকার জনগণের পাশে থেকে দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন ও দলকে সুসংগঠিত করেছেন। এছাড়া জনগন তাকে সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। তাই আগামী উপ-নির্বাচনে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে তার বিজয় শতভাগ নিশ্চিত এবং এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে বলে দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি প্রভাষক আব্দুল জলিল জানান, এলাকাবাসী ও দলীয় তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ আছে এমন প্রার্থীকে দল মনোনয়ন দিলে তিনি জয়লাভ করবেন। তাই তৃণমূল পর্যায়ের এ সিদ্ধান্ত কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আপনাদের (গনমাধ্যম) সহায়তায় এই সিন্ধান্তের কথা কেন্দ্রের নেতাদের সামনে তুলে ধরতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। আমরা আশা করছেন এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত প্রার্থীকেই দলীয় মনোনয়ন দিলে দলে শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন বলেন, নেতাকর্মী ও জনগনের পাশে থেকে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে যে ব্যক্তি অতীতে ভুমিকা রেখেছে এমন নেতাকে যেন দল মনোনয়ন দেয়। আমাদের বিবেচনায় এমন প্রার্থী হলেন আলহাজ্ব সাহারিয়ার খান বিপ্লব।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোন্তেজার রহমান চঞ্চল বলেন, ভোটের পর যার সাথে দেখা করতে মাসের মাস অপেক্ষা করতে হয়। এমন প্রার্থীকে যেন দল থেকে মনোনয়ন দেয়া না হয়। আমরা চাই অতীতে নেতৃত্বের মধ্যে দিয়ে যিনি নেতা হওয়ার যোগ্যতা প্রমান করেছেন। তাকে যেন দল মনোননয়ন দেন। তিনি হলেন আলহাজ্ব সাহারিয়ার খান বিপ্লব।
স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি মোজাহারুল ইসলাম, প্রভাষক আব্দুল জলিল, জিল্লুর রহমান খন্দকার, শামসুজ্জোহা প্রামানিক, যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আলম, রঞ্জিত কুমার অধিকারী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারাণ সম্পাদক রুহুল আমিন জুয়েল, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোন্তেজার রহমান চঞ্চলসহ উপজেলার ১১ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।
প্রসঙ্গত. জেলা নির্বাচন অফিসার মাহাবুবুর রহমান বলেন, সাদুল্লাপুরের ১১টি ও পলাশবাড়ী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে ৩১, গাইবান্ধা-৩ সংসদীয় আসন। ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ১১ হাজার ৮৫৪ জন। এখনও এই আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। তবে নিয়ম অনুযায়ী সঠিক সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন