পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, অবৈধ নদী ও খাল দখলকারীদের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই। তাদের উচ্ছেদের জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে বুড়িগঙ্গা থেকে অবৈধ নদী ও খাল দখলকারীদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে প্রত্যেকটা জেলায়ই একটি করে শক্তিশালী অবৈধ নদী ও খাল দখলদার উচ্ছেদ কমিটি করা হয়েছে। গোপালগঞ্জেও অবৈধ দখলদার যারাই থাকুক না কেন তাদেরকেও উচ্ছেদের আওতায় আনা হবে।
গতকাল দুপুরে তিনি গোপালগঞ্জ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার নৌরুট খননের কাজ পরিদর্শন শেষে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কুশলী গ্রামে সংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ নৌরুটের খনন, সৌন্দর্য বর্ধন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। দ্রুতই এ কাজ সম্পন্ন হবে। গোপালগঞ্জের নদী ভাঙন প্রতিরোধ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও কৃষিকাজের সেচ সুবিধার জন্য ১১৬০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গোপালগঞ্জের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এতে জেলার কৃষকের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে।
এর আগে সকালে মন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া-মোনাজাত করে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিম অঞ্চল) হাবিবুর রহমান, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাকিব হাসান তরফদার, পৌর মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মীর্জাসহ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পদস্থ কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন