মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১, ০৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সোনালি আসর

সালামির টাকা

প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সা জ্জা ক হো সে ন শি হা ব
ঈদে এক হাজার টাকা সালামি পেয়েছে শিশির। তার চার মামা একশ করে মোট দিয়েছে চারশ টাকা। নানী দিয়েছে একশ টাকা। দুই মামীর প্রত্যেকে দিয়েছে একশ টাকা করে। আর শিশিরের বাবা-মা মিলে দিয়েছে তিনশ টাকা। এই মোট এক হাজার টাকা। এতগুলো টাকা একসাথে পেয়ে শিশির বেজায় খুশি। এই টাকা দিয়ে সে কী করবে তা ভেবে পাচ্ছেনা। কখনো ভাবছে এই টাকা দিয়ে সে একটা ভালো খেলনা গাড়ি কিনবে। আবার কখনো ভাবছে একটা সুন্দর জামা কিনবে। কিন্তু তার তো নতুন জামা আর খেলনা গাড়ির অভাব নেই। এই ঈদেই সে অনেকগুলো নতুন জামা আর খেলনা গাড়ি উপহার পেয়েছে। এসব ভেবে সে গাড়ি কিংবা জামার কোনোটায় কিনছেনা। পকেটে টাকা গুঁজে সে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর এ-টাকা দিয়ে কী করা যায় সেটা ভাবছে। ঘুরতে ঘুরতে শিশির সুমন তার সহপাঠী তমার বাড়িতে আসে। তমার বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে তমাকে তমা, তমা বলে ডাক দেয়। শিশিরের কথাশুনে তমা ঘর থেকে বের হয়ে আসে। সে শিশিরের কাছে এসে বলে,
-শিশির, কী হয়েছে?
তমার দিকে তাকিয়ে শিশির বলে,
-তমা, আমি সালামির একহাজার টাকা পেয়েছি। এটা দিয়ে আমি কী করবো তা ভেবে পাচ্ছিনা। তুমি কী আমাকে ভালো একটা কাজের কথা বলবে?
শিশিরের কথাশুনে তমা বলে,
-শিশির, আমিও তো পাঁচশ টাকা সালামি পেয়েছি। আর এই টাকা দিয়ে কী করবো তা ভেবে পাচ্ছিনা।
এই কথা বলে তমা তার পকেট থেকে পাঁচটা একশ টাকার নোট বের করে শিশিরকে দ্যাখায়। আর শিশির তার প্যান্টের পকেট থেকে দশটা একশ টাকার নোট বের করে তমাকে দ্যাখায়। তমা শিশিরের টাকার দিকে তাকিয়ে বলে,
-চল সুমনের কাছে যায়। ও নিশ্চয় আমাদেরকে একটা ভালকাজের কথা বলবে।
যে কথা সেই কাজ। তমা আর শিশির মিলে সুমনের বাড়ি যায়। সুমন তাদের সহপাঠী। তাদের তিনজনের বাড়িও কাছাকাছি। তারা তিনজনে একসাথে স্কুলে যায়। আবার স্কুল থেকে একসাথে বাড়ি ফিরে। সুমনের বাবা একজন দিনমজুর। কিন্তু সুমন বেশ ভালছাত্র। সুমনের বাড়িতে ঢুকতেই তমা আর শিশির খেয়াল করে সুমন বাড়ির উঠোনে একটা পুরাতন জামা, প্যান্ট পরে একাএকা খেলা করছে। তমা ও শিশির বুঝে যায় যে সুমনের বাবা-মা সুমনকে এই ঈদে নতুন জামা, প্যান্ট কিনে দিতে পারেনি। এটা দেখে শিশির তমার কানের কাছে এসে বলে,
-তমা, আমরা সালামীর টাকা দিয়ে সুমনকে নতুন জামা, প্যান্ট কিনে দিই। কি বলো?
তমা মাথা নাড়ায়। তারপর তমাকে ইশারায় ডেকে নিয়ে পাশের বাজারে যায় সে। বাজার থেকে সুন্দর চকচকে লালশার্ট আর নীলপ্যান্ট কিনে। তমা আর শিশির সুমনের কাছে আসে। লালশার্ট আর নীলপ্যান্ট সুমনকে দেয়। বন্ধুদের দেয়া নতুন পোশাক পেয়ে মন ভরে যায় সুমনের। সুমনের হাসিমুখ দেখে তমা আর শিশিরও আনন্দ পায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন