শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা, কাশ্মীরে আতঙ্ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৭:১৫ পিএম

সোশাল মিডিয়া ব্যবহারের উপর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে অধিকৃত কাশ্মীরের যে সব ব্যক্তি সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস দমন’ আইনের মামলা করেছে ভারত শাসিত কাশ্মীরের কর্তৃপক্ষ।

মামলা দায়েরের পর কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ৫ আগস্ট যখন মুসলিম প্রধান এ অঞ্চলের স্বায়ত্বশাসন ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়া হয়, তখন থেকেই এ অঞ্চলের উপর যোগাযোগ নিষেধাজ্ঞা চলে আসছে।

আনল’ফুল অ্যাকটিভিটিজ প্রিভেনশান অ্যাক্টের (ইউএপিএ) অধীনে নাম না জানা সোশাল মিডিয়া ইউজারদের বিরুদ্ধে ফার্স্ট ইনফরমেশান রিপোর্ট বা এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ইউএপিএ আইনের অধীনে কেউ আটক হলে জামিন ছাড়া তাকে বহু মাস আটক রাখা হতে পারে।

পুলিশ বলেছে যারা সোশাল মিডিয়াকে অপব্যবহার করে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী আদর্শ এবং অবৈধ কর্মকাণ্ড করছে’ তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সেই অঞ্চলের পুলিশের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সোশাল মিডিয়ার মারাত্মক অপব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেখা গেছে, অব্যাহতভাবে সোশাল মিডিয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আদর্শ প্রচার করা হচ্ছে এবং অবৈধ কর্মকাণ্ডকে উসকানি দেয়া হচ্ছে।’ এই পুলিশ বাহিনী সরাসরি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে।

কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করার ছয় মাস পর ১৪ জানুয়ারি নিম্নগতির ২জি ইন্টারনেট চালু করেছে সেখানে। তবে ইন্টারনেট চালু করা হলেও সোশাল মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রয়েছে। কাশ্মীরীরা ভিপিএন ব্যবহার করে বন্ধ সোশাল মিডিয়া সাইটগুলো ব্যবহার করছে। অনেকে টুইটার ও ফেসবুকে আপডেট পোস্ট দিতে শুরু করেছে। তবে এফআইআর দায়েরের পরে এখন তাদের অনেকের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

২৫ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সেহবা মির বলেন, ‘সোশাল মিডিয়াতে আমি কোন রাজনৈতিক পোস্ট দেয়নি কিন্তু আমি আতঙ্কিত হয়ে গেছি। আমি আমার ভিপিএন মুছে দিয়েছি এবং সোশাল মিডিয়া একাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভেট করে দিয়েছি। এই মামলার অর্থ হলো তারা এখন যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে।’

কিছু ইউজার অভিযোগ করেছেন যে, সিকিউরিটি চেকপোস্টগুলোতে তাদের মোবাইল চেক করে প্রক্সি সার্ভার ফোন থেকে মুছে দেয়া হয়েছে। বিশোর্ধ ব্যবস্থাপনার শিক্ষার্থী তার নাম না প্রকাশের শর্তে আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘দুই দিন আগে শ্রীনগরের একটি হাসপাতালের বাইরে আমাকে থামানো হয়েছিল। সেনারা আমাদের ফোন চেক করে ভিপিএন ডিলিট করে দেয়।’

এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেছেন যে, তারা ‘বিভিন্ন একাউন্ট ও স্ক্রিনশট যাচাই করে দেখছেন এবং এরপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে’। সূত্র: এসএএম।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
jack ali ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৭:১৯ পিএম says : 0
O'Allah wipe out and destroy Modi and his Army from Kashmir... Ameeen
Total Reply(0)
Alif ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:০২ পিএম says : 0
সোশ্যাল মিডিয়া/ফেইসবুক ব্যবহার করা ভালোনা. যেকোন সময় আপনার বা আপনার পরিবারের বিপদ আসতে পারে.
Total Reply(0)
ফাতিমা ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:২৬ পিএম says : 0
বিগত দশ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে যত খুন হইছে তার ২৫% ফেসবুকের মাধ্যমে হইছে. এই খুন গুলি বিদেশী হ্যাকাররা বাংলাদেশী অন্ধ মানুষ দিয়া করায়.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন