ফাহিম ফিরোজ
বোন গুলো আজ
আকাশের মেঘকে থাবায় আমাদের আংগিনায় টেনে এনে ভেংগে ফেলে। এত বৃষ্টি! কত বৃষ্টি! অমানুষিক বৃষ্টির ভেতর শুধুই বৃষ্টি দেখা যায়। তার মধ্যে গিঁট খোলা চুলগুলো শোকজলে চিকচিক করে। মারে- মাজী,কও কও আব্বাহীন আমাদের এই গৃহ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে?
ভাই - ভাবীরা এখন থেকে ননদী বর্গের দিকে তাকানোর আগে নিশ্চয়ই চোখে ব্লাকটেপ পড়ে নেবে! আজ থেকে আমাদের সব
অধিকারই একটি গোল
তাল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, মৃত্তিকায় স্থির কোনো লাঠির উপর!একটু বাতাস লাগলেই ডরে ভয়ে ভীতু
কাজের ছেমরি হতে হবে।
ভাবীসাব,বৃষ্টি নামে। হাত- পা ছড়িয়ে ; ছুড়ে।
থামতে চায়না। এ সকল
বৃষ্টির ভেতর শাদা একটি টুপিকে
দেখি কবর থেইকা উঁকি দিয়ে, সব দেখে। কেন জানি সেও বৃষ্টি হয়!
ভাইদের ঘাড়ের উপর এখনই কাশবন...!
ঘুমঘোরে
মাটিতে কোদাল পড়ার শব্দ শুনি।ভয়ে কাঁপি। প্রানপনে বোনগো বুঝাই --এই ঘর, খুঁটি
তোদের পায়ের রগ দিয়ে ঢুকে
মাথাবধি এখনও স্থির।
মানে এখানকার সব কিছুরই
ভাগীদার তোরা। কিন্তু
বুঝেনা বুঝেনা। কান্দে কান্দে শুধু
বুকের হাঁড়কে দুই হাতে খোলে ফোলে।
পিতা; এ ডাক সত্তুর
হাত মাটির তলা থেকেও খুব চেনা যায়। গাছের পাতারা আড়মোড়া ভাংগে; মরা মাছ লম্ফ দেয়! কিন্তু পিসিমা,ওরতো
হয়না কিছুই! ঐ যে মায়ের কিনে আনা মাইজা মিয়ার ভাগে
দীঘির পাড়ের কাওয়া মুখখানি? সারাদিন হুদামিছা ঠুকরায়
দীঘল সূর্যের দেহে রক্ত ঝরে...
২০/২/২০২০
মন্তব্য করুন