বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী হেনা আক্তার (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হেনার স্বামী নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগ ওরফে পাসপোর্ট সোহাগকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এই দম্পতির এক বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
পাসপোর্ট সোহাগ নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে বরিশাল নগরীতে বিতর্কিত। সে অছাত্র হলেও ২০১০ সাল থেকে পরবর্তী কয়েক বছর বিএম কলেজে তখনকার ছাত্রলীগের একাংশের ছত্রছায়ায় ক্যাম্পাসে দাপুটে নেতা ছিল। সেই সূত্রে পরিচয়ের জেরে তখনকার ছাত্রলীগ নেত্রী হেনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক এবং প্রায় তিনবছর আগে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পার্সপোর্ট অফিসের দালালি করায় সোহাগের নাম পাসপোর্ট সোহাগ হিসাবে নগরীতে পরিচিত। হেনা আক্তার (৩০) ও পাসপোর্ট সোহাগ দম্পতি বরিশাল নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডের বাসায় থাকতো।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডে স্বামীর বাসার একটি কক্ষের দরজা আটকে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ওড়না বেঁধে গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন হেনা। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে মুর্মূর্ষ অবস্থায় শের-ই বাংলা মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে হেনা আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে। হেনার স্বামী সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন