শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গ্রীসের মর্গে বালাগঞ্জের ফয়ছলের লাশ!

অপেক্ষায় স্বজনরা

বালাগঞ্জ (সিলেট) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:০১ পিএম

তুর্কী থেকে গ্রীসে যাত্রা পথে বরফের পাহাড়ে মৃত্যু হয়েছে বালাগঞ্জের এনামুল এহসান জায়গীরদার ফয়ছলের (৩০)। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গ্রীসের সময় বেলা ২টার দিকে তিনি বরফের ঢান্ডায় মৃত্যুবরণ করেন।

ফয়ছলের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মহুদ আহমদ জায়গীরদারের ২য় ছেলে ফয়ছল। বেশ কয়েক বছর পূর্বে ভিসা নিয়ে উমান যান তিনি। উমান থাকাবস্থায় কয়েকবার দেশে আসা-যাওয়া করেন। মাস ছয়েক পূর্বে তিনি উমান থেকে ইরাক হয়ে তুর্কী যান। সেখানে তিনি ভালই ছিলেন নিয়মিত পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতেন। সর্বশেষ ৪ ফেব্রæয়ারি বাড়িতে ফোন করে তার জন্য দোয়া করার কথা বললেও গ্রীসে যাওয়ার বিষয়টি জানাননি। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ফয়ছল ছিলেন ২য়। ৪ ফেব্রæয়ারি ফয়ছলসহ কয়েকজন দালালের মাধ্যমে চোরাই পথে গ্রীসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। গ্রীসের সীমানায় পৌঁছলে সেখানে টান্ডাজনিত কারণে ৭ ফেব্রæয়ারি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। সহযাত্রীরা মুঠোফোনে মৃত দেহের সাথে ওই স্থানটির ছবি তুলেন। ৯ ফেব্রুয়ারি সহযাত্রীরা ফয়ছলের বাড়িতে মৃত্যুর সংবাদটি জানিয়ে সেখানে তোলা ছবিগুলো পাঠান।

গ্রীসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত মো. জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গ্রীস প্রশাসন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রযুক্তির সহযোগীতায় ফয়ছলের লাশ পড়ে থাকা স্থানে তোলা ছবির সূত্র ধরে গ্রীসের আলেকজান্ডার পলি সীমান্তে পাহাড়ী এলাকাটি চিহ্নিত করা হয়। ১২ফেব্রæয়ারি বরফের নীচ থেকে হেলিকপ্টার দিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে আলেকজান্ডার পলি নামক হসপিটালে হন্তান্তর করা হয়। লাশ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ফয়ছলের লাশ গ্রীসের মর্গে পড়ে আছে। এদিকে ১৬দিন ধরে শোকের মাতম চলছে ফয়ছলের পরিবারে। বৃদ্ধ বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যসহ স্বজনদের শেষ আকুতি মৃতদেহ শেষ বারের মত একনজর দেখার।
ফয়ছলের ভাই রাজিমুল হাসান জায়গীরদার জানান, আমার ভাই ওমান থেকে তুর্কি হয়ে গত ৪ ফেব্রæয়ারি দালালের মাধ্যমে গ্রীসে যাত্রা করে। সেখানে বরফের মাঝে তিনি মৃত্যুরকুলে ঢলে পড়েন। ৯ ফেব্রুয়ারি তার সহযাত্রীদের মোবইলের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ভাই ফয়ছল মৃত্যুর সংবাদ। আজ ১৬ দিন ধরে আমরা অপেক্ষার প্রহর গুনছি কবে ভাইয়ের লাশ আসবে?

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন