ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক যুবককে অপহরন করে মুক্তিপনের জন্য হত্যা করার তিনদিন পর তার লাশ উদ্ধার করে র্যাব-১০। নিহত যুবকের নাম মোঃ মোকসেদুল মমিন চৌকিদার(১৮)।তার বাবার নাম মোঃ সাহাবুদ্দিন চৌকিদার। তাদের বাসা জিনজিরা ইউনিয়নের বন্দ ডাকপাড়া এলাকায়।এই ঘটনায় র্যাব-১ বুধবার রাতে রাজধানীর নবাবপুর রোড থেকে মোঃ ফাহিম(১৯) নামে এক অপহরনকারীকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার(২৭) ফ্রেবুয়ারী) সকাল ১০টায় শুভাঢ্যা ইউনিয়নের রতনের খামার এলাকায় বালুর নিচ থেকে মোকসেদুল মমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার এসআই সঞ্জয় নিহতের লাশের সুরোতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে।আটক ফাহিমের বাবার নাম আব্দুর রহিম। বাসা শুভাঢ্যার হাবিব নগর এলাকায়।
নিহতের বাবা সাহাবুদ্দিন জানান,তার ছেলে গত সোমবার দুপুরে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।পরের দিন মঙ্গলবার তার ছেলের মোবাইল ফোন থেকে তাকে জানানো হয় যে তার ছেলে মোকসেদুলকে অপহরন করা হয়েছে। তাকে জীবিত পেতে হলে ২ কোটি টাকা মুক্তিপন দিতে হবে। এই ঘটনায় তিনি ওইদিনই কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি জিডি করেন। তিনি দুই দফায় ৫হাজার টাকা করে মোট ১০হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে অপহরনকারীরদের প্রদান করেন।পরে তিনি র্যাব-১০ কেরানীগঞ্জ কোম্পানী কমান্ডার বরাবর লিখিতভাবে একটি আবেদন করেন।এতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে র্যাব-১০ কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পের এএসপি আবুল কালাম আজাদের নেতুত্বে একদল র্যাব সদস্য বুধবার রাতে রাজধানীর নবাবপুর রোড থেকে ৫হাজার টাকাসহ অপহরনকারী মোঃ ফাহিমকে আটক করেন।র্যাবের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ফাহিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং তার দেখানো রতনের খামার এলাকায় বালুর নিচ থেকে গলাকাটা অবস্থায় তার ছেলে মোকসেদুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং আসামী আটক আছে।বাকী আসামীদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন