শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

দেশের ৯ দশমিক ৬ ভাগ মানুষ প্রতিবন্ধী ধরণের বধিরতায় ভোগেন

বিএসএমএমইউতে বিশ্ব শ্রবণ দিবস পালন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২০, ৩:৫৯ পিএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেছেন, বধিরতা বাংলাদেশের একটি বড় ধরণের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। দেশের ৯ দশমিক ৬ ভাগ মানুষ প্রতিবন্ধী ধরণের বধিরতায় ভোগেন। বধিরতার হার কমিয়ে আনার জন্য প্রতিরোধই মূল উপায়। প্রতিরোধের জন্য জনসচেতনা সৃষ্টির বিকল্প নেই। এছাড়াও বধিরতা দ্রুত নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদান ও পুনর্বাসন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বধিরতা নির্ণয়, চিকিৎসা প্রদান ও পুনর্বাসনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ২০১০ সাল থেকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় চালু আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৪৩৭ জন সম্পূর্ণ বধির শিশু ও ব্যক্তিকে অত্যন্ত ব্যয়বহুল কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি সেবা কার্যক্রম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি করা হয়েছে। যাঁদের প্রায় সকলেই শিশু। এসকল বধির শিশু ও ব্যক্তিরা কানে শুনতে ও কথা বলতে পারছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের সামনে বটতলায় মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিশ্ব শ্রবণ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি অব অটোলজী এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জনসচেতনতামূলক শোভাযাত্রা পূর্ব আয়োজিত সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর প্রফেসর ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ সোসাইটি অব অটোলজী এর সভাপতি ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালক (পরিদর্শন) প্রফেসর ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার, অটোল্যারিংগোলজি হেড নেক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী, প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান তরফদার, প্রফেসর ডা. মো. মনজরুল আলম, প্রফেসর এ এইচএম জহুরুল হক সাচ্চু, প্রফেসর ডা. নাসিমা আখতার, প্রফেসর ডা. এ আল্লাম চৌধুরী, প্রফেসর ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানু লাল সাহা প্রমুখসহ উক্ত বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রী ও নার্সরা। ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া প্রধান অতিথি হিসেবে শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন করার পর এটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে। ‘শ্রবণ জীবনের জন্য’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ও ‘কানে কম শোনার জন্যে জীবনকে সীমাবদ্ধ হতে দেবেন না’ আয়োজিত থিমকে ধারণ করে শোভাযাত্রা শেষে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের মাল্টিপারপাস হলে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ সোসাইটি অব অটোলজী এর সভাপতি ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালক (পরিদর্শন) প্রফেসর ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার বলেন, বধিরতা প্রতিরোধের জন্য শব্দ দুষণ হ্রাস করা, রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়দের মধ্যে বিবাহকে নিরুসাহিত করা, শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগের প্রদাহকে দ্রুত সনাক্ত করে চিকিৎসা প্রদান জরুরি। এতে করে কান পাকা ও মধ্য কর্ণের রোগের প্রার্দুভাবও কমে যাবে। শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের নিয়মিত হিয়ারিং স্ক্রিনিং করে বধিরতা নির্ণিত হলে হিয়ারিং এইড অথবা কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করতে হবে। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যা সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু ও বধির ব্যক্তিদের কানে শুনতে সহায়তা করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন