বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ ফাঁড়িতে যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ ফাঁড়ির ভেতরে নির্যাতনের শিকার হয়েছে জাবেদ মিয়া (২৮) নামে এক যুবক। প্রায় ঘন্টাব্যাপী তাকে মারধোর করে ওই ফাঁড়ির দুই এসআই মজিবুর রহমান ও আশরাফ। জাবেদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে সে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম উদ্দিন ওই দুই দারোগা জাবেদকে চড় থাপ্পড় দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। জানা যায়, বুধবার দুপুরে শহরের পুরাতন কারাগারাস্থ ১ নং পুলিশ ফাঁড়িতে ফোনে জাবেদকে ডেকে নিয়ে যান ওই দুই দারোগা। এরপর ফাঁড়ির ভেতরের একটি কক্ষে আটকে এসআই মুুুজিবুর রহমান ও আশরাফ তাকে লাঠিপেটা করতে শুরু করেন। পাশাপাশি লাথি মারতে থাকেন তারা। তাদের সঙ্গে মুক্তা নামে এক তরুণীও মারধর করে তাকে। তবে এসআই মজিবুর রহমানের দাবি এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার জাবেদ জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কালিকচ্ছ গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে।

জাবেদ মিয়া জানান, শহরের তিতাস পাড়ার মুক্তা নামে এক নারী প্রায় সময় তাকে উত্যক্ত করতো। বাড়ি থেকে বের হলেই তাকে পথরোধ করে টাকা চাইতো। বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিতো। হামলা-মামলার ভয় দেখাত। নানা ভাবে বেøকমেইল করে মুক্তা তার কাছ থেকে অনেকবার টাকা নিয়েছে। বুধবার দুপুরে মেড্ডা শশ্মান ঘাটের সামনে তাকে দেখে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে আরো কয়েকজনকে নিয়ে মারধর করে চলে যায়। এরপর পুলিশ দিয়ে ফোন করে আমাকে ফাঁড়িতে ডেকে আনে। পরে পুলিশের সাথে যোগসাজস করে আমার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এসআই মুজিবুর ও আশরাফ আমাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। নিচে ফেলে পা দিয়ে লাথি মারতে থাকে। পরে পুলিশের সামনে মুক্তা ও তার বোন আমাকে মারধর করে।

১ নং পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান বলেন, সে মেয়েকে উত্যক্ত করতো। এই বিষয়ে ওসি সাহেবের কাছে সে অভিযোগ দেয়। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন মুজিবুর। ব্রহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ওই দুই দারোগা আমার কাছে চড়-থাপ্পড় দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। মারধর করা ঠিক হয়নি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন