সোনাইমুড়ীতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দুই সহোদরকে গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
ঘটনাটি ঘটে উপজেলার শিমুলিয়া মফিজ পাটোয়ারী বাড়ীতে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করে থানা পুলিশ।
বুধবার সকালে আটককৃত শিমুলিয়া গ্রামের খোকন ভান্ডারীর ছেলে জোনায়েদুল ইসলাম জহির (২৪) ও আরিফুল ইসলাম আনোয়ার (২৬) কে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড শিমুলিয়া গ্রামে চুরির প্রতিবাদ করায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিমুলিয়া মফিজ পাটোয়ারী বাড়ীর ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ও তার সহোদরদের বাড়ীতে দেশীয় অশ্রসস্র নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায় দুই সহোদর জহির ও আনোয়ার। এ সময় তাদেরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন দুজনকে বিবাদী করে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানাযায়, শিমুলিয়া গ্রামের মফিজ পাটোয়ারীর ৪ ছেলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাস করে। এ সুযোগে বাড়িতে প্রায় সময় চুরির ঘটনা ঘটতো। ইতিপূর্বে চুরি নিয়ন্ত্রণ করতে জসিম উদ্দিন তার সহদোরদের বসতঘরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে।
গত সোমবার দিবগত রাত ২টার দিকে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পায় পাশের বাড়ীর খোকন ভান্ডারির ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৬) প্রবাসীদের বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে টর্চ লাইট হাতে বাড়ির উঠানে ঘোরাফেরা করছে এক পর্যায়ে সে তাদের দরজা-জানালা ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। বিষয়টি প্রবাসীরা পরের দিন আনোয়ার হোসেনের অবিভাবকদের জানালে সে ও তার সহোদর জহির ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ও তার সহোদরদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালালে এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে ৯৯৯ তে ফোন দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন জানান হামলাকারীরা চোরচক্রের সদস্য। এদের বিরুদ্ধে মামলা করায় এখন তাদের লোকজন অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক বলেন আটককৃত সহোদররা বাদীর বাড়িতে চুরির চেষ্টা করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন