শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কিস্তির টাকা শোধ না করায় মারধর

দরিদ্র মহিলাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

সময়মতো ঋণের কিস্তি শোধ না করায় ঝিনাইদহের সিও এনজির মাঠকর্মীরা একজন জ্বরে আক্রান্ত ঋণ  গ্রহিতাকে গুরুতর জখম করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ মার্চ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের পশ্চিম নারায়নপুর গ্রামে। গ্রামের শামছুল ইসলামের ছেলে আক্তারুল ইসলাম (২৮) কে মাত্র ২ হাজার টাকার জন্য সিও এনজিওর মাঠকর্মীরা অমানুষিক শারিরীক নির্যাতন করে। নির্যাতনের ফলে তাকে ৩ দিন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় আক্তারুল লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ার এনজিও সিও’র গান্না বাজার শাখার মাঠকর্মী সাইফুল ইসলাম, কণক রহমান, হিসাব রক্ষক আসলাম, ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, ম্যানেজার আব্দুল লতিফ ও অফিসার হাসানকে আসামি করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, আক্তারুল ওই এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহন করেন। প্রতি সপ্তাহে তাকে ৫৫০ টাকা কিস্তি দিতে হয়। এক মাস জ্বরে আক্রান্ত থাকার কারণে আক্তারুল কিস্তি দিতে পারেনি। এতেই বিগড়ে যায় এনজিও কর্মীরা।
আক্তারুলের বড় ভাবি গান্না ইউনিয়নের মেম্বর নার্গিস বেগম অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন এনজিও কর্মীরা বাড়ি গিয়ে বিশ্রি ভাষায় গালিগালাজ এবং আক্তারুলের স্ত্রী জেসমিন খাতুনের উদ্দেশ্যে বলে কিস্তির টাকা পরিশোধ না করতে পারলে পতিতাবৃত্তি করে স্বামীর নেয়া কিস্তির টাকা পরিশোধ করো । এ কথার প্রতিবাদ করলে এনজিও কর্মীরা তার দেবর আক্তারুলকে ব্যাপক মারধর করে। তিন দিন ঝিনাইদহ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহনের পর আক্তারুল ১১ মার্চ বাড়ি আসে। মহিলা মেম্বর আরো জানান, এনজিও কর্তৃপক্ষ তার দেবরকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণ দিতে সম্মত হয়েছে। ৫ দিন পর টাকা প্রদান করবে।
এনজিও কর্মীদের নির্যাতনের শিকার আক্তারুল জানান, থানায় অভিযোগ দেয়ার পর বিষয়টি মিমাংশার জন্য গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির মালিথা দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি যে বিচার করবেন তাই আমি মাথা পেতে নেব। স্থানীয় বেতাই পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, চেয়ারম্যান সমঝোতা করার উদ্যোগ গ্রহন করায় আমরা কিছুদিন ঘটনা পর্যবেক্ষন করছি। নির্যাতিত উপযুক্ত বিচার না পেলে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
অভিযোগ আছে, ঝিনাইদহ প্রশাসনের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে সিও এনজিও কর্তৃপক্ষ সারা জেলায় ঋণ দিয়ে চড়া হারে সুদ আদায় করছে।কিস্তির টাকা দিতে না পারলে গ্রামের হতদরিদ্র মহিলাদের নামে মামলা করে তাদের পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে জেলে ভরছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সমাজসেবা কর্মকর্তাদের অভিমত, কোন এনজিও এমন আচরণ করতে পারে না। করলে তার নিবন্ধন বাতিল হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন