চট্টগ্রামের রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে ২১টি বসত ঘর। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টায় উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের গোলজার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে বিভিন্ন আসবাসপত্র ও নগদ টাকা পুড়ে যাই।
জানা গেছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সুত্রপাত হওয়া আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে একে একে পুড়ে ছাই হয়ে যাই ২১টি বসত ঘর। পরে ফায়ার সাভির্স এর সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও এর আগেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যাই।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে হঠাৎ আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখে সবাই আগুন আগুন করে শোর চিৎকার শুরু করে। বাড়ির সামনে পুকুরে পানিও নেই। কিছুদিন আগে সংস্কারের জন্যে পুকুরের পানি ফেলে দেয়া হয়েছে। যার জন্যে কাছে পানি পাওয়া যায়নি। আগুন জ্বলছে আর আমরা চেয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করতে পারিনি। শুধু দেখেছি সব স্বপ্ন পুড়ে যেতে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম লিটন ও আনোয়ার হোসেন জানান, আগুন লাগার সময় সবাই ঘুমে ছিল। যার কারণে ঘর থেকে কিছুই বাহির করতে পারেনি। তবে ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকায় হতাহতের সম্ভাবনা ছিল। সবাই কিন্তু সর্বশ হারালেও হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো হল, হাসান, বাহাদুর, আবুল কালাম, মুহাম্মদ আলী, বাঁচা মিয়া, টুনু মিয়া, ফোরকান, সেলিম, বালি, বদি আলম, ফরিদা, হাবিবুল্লাহ, ইমতিয়াজ, জামশেদ, ওসমান, রাবেয়া বেগম, জামাল, কামাল, হায়দার, বেলাল ও হান্নানের বসত ঘর।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন আরিফ জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। অগ্নিকান্ডে ২১ পরিবার খোলা আকাশের নিচে। আমি তাৎক্ষণিক চাউল, ডাল, আলু পিয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্র নিয়ে এসেছি।
এছাড়া অগ্নিকান্ড এলাকা পরিদর্শনে এসে তাৎক্ষনিক নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ।
ক্ষতিগ্রস্থ ২১ পরিবার দাবি করেছেন নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন